কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ও অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, লোহিত কণিকার উৎপাদনে সাহায্য করে এবং শরীরের পানি ও খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতায় সামান্য বিঘ্ন ঘটলেও শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করে বলেন, কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হলে নিয়মিত পানি খাওয়ার পাশাপাশি সময়মতো রক্ত ও ইউরিন পরীক্ষাও জরুরি।
কিন্তু কীভাবে বুঝবেন, কিডনির সমস্যা শুরু হয়েছে? চলুন, জেনে নিই যেসব লক্ষণ অবহেলা করলে বিপদ হতে পারে কিডনির।
প্রস্রাবে অস্বাভাবিকতা: বারবার প্রস্রাবের বেগ হওয়া, বিশেষ করে রাতে। স্বাভাবিকের তুলনায় কম প্রস্রাব হওয়া।
প্রস্রাব ফেনাযুক্ত হলে বুঝতে হবে প্রোটিন লিক হচ্ছে। প্রস্রাবে রক্ত থাকলে তা গোলাপি বা কালচে রঙে দেখা দিতে পারে।
শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোলাভাব: কিডনি যদি অতিরিক্ত পানি ও লবণ শরীর থেকে বের করতে না পারে তাহলে পা, গোড়ালি বা চোখের চারপাশে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে।
অকারণ ক্লান্তি ও দুর্বলতা: কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে বর্জ্য জমে গিয়ে রক্ত দূষিত হয়। এতে অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলে ঘুম বা বিশ্রামেও ক্লান্তি দূর হয় না।
পেশিতে যন্ত্রণা: ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে পেশিতে ব্যথা বা টান ধরার মতো উপসর্গ দেখা যায়।
শ্বাসকষ্ট বা বুক ধড়ফড়: কিডনি বিকল হলে ফুসফুসে পানি জমে শ্বাসকষ্ট বা বুক ধড়ফড়ের মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
এ ছাড়াও রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, ত্বকে অতিরিক্ত চুলকানি বা রুক্ষতা, খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দিতে পারে কিডনির সমস্যায়। তবে উপরের যেকোনও একটি উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আমারবাঙলা/ইউকে