মায়ের অসুস্থতার কারণে দেড় ঘণ্টা দেরিতে কেন্দ্রে এসে প্রথম দিন হলে ঢুকতে না পারা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আনিসা রবিবার (২৯ জুন) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে এদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেন আনিসা বলে কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সকাল ৯টার পর মেয়েটি কেন্দ্রে এসেছেন।
বাঙলা কলেজের অধ্যাপক কামরুল হাসান জানান, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মেয়েটি সকাল সাড়ে ৯টার আগে এসেছেন, তার কোনো সমস্যা হয়নি।
এদিকে কেন্দ্রের সামনে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ছাত্রদল ও নানাভাবে পরীক্ষার্থীদের সহায়তা করছে।
সরকারি বাঙলা কলেজের ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, সকাল ৯টা ৫-৭ মিনিটের দিকে ওই মেয়েটিকে হলে প্রবেশের সহযোগিতা করেছি। তার যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় এজন্য আমরা সার্বিকভাবে খেয়াল রাখার চেষ্টা করেছিলাম। পরীক্ষা শেষে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
মোখলেসুর রহমান বলেন, আমরা সকাল ৮টা থেকে কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছি। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোনো ধরনের অসুবিধা যেন না হয় তার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমনকি অভিভাবকদের বসার জন্য আমরা এখানে তাঁবুর ব্যবস্থা করেছি। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্যালাইন ও পানি ব্যবস্থা করেছি এবং যেকোনো ধরনের সমস্যা থেকে এড়ানোর জন্য সার্বিকভাবে নজর রাখছি।
এর আগে ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে পারেননি আনিসা।
সরকারি বাঙলা কলেজ ছিল আনিসার পরীক্ষা কেন্দ্র। মা অসুস্থ থাকায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে কেন্দ্রে এসে ঢুকতে না পেরে কেন্দ্রের সামনে কান্নাকাটি করেন আনিসা। পরে সেই দৃশ্য ভাইরাল হয়। এরপর মানবিক বিবেচনায় তাকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার দাবি উঠে। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার বিষয়ে মানবিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায়।
শনিবার (২৮ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার আনিসা পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
প্রথম পরীক্ষা দিতে না পারা এবং সেই পরীক্ষার মূল্যায়ন নিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বোর্ড বিষয়টি মানবিকভাবে দেখবে।
আনিসার মা বলেন, আজকে আমার মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আপনারাসহ বাংলাদেশের সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করুন যেন সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পারে। বিস্তারিত আপনাদের পরে জানাবো।
আমারবাঙলা/জিজি