কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি থেকে নাম বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মুদি ব্যবসায়ী ছাদিম কাজী। বৃহস্পতিবার ঘোষিত এনসিপির গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয় তাকে। শুক্রবার দুপুরে ছাদিম কাজী তার ফেসবুকে এক পোস্টে তার নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি লিখেছেন, আমার অনুমতি ছাড়া আমাকে এনসিপির কমিটির (জেলা সমন্বয় কমিটি) সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। এটা আমার ও আমার পরিবারের জন্য অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করেছে। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না, এনসিপি দলেরও সদস্যও না। তাই আমার নাম এনসিপি দলের কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি প্রকাশ করা হয়। ২৯ সদস্যবিশিষ্ট ঘোষিত ওই কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয় ছাদিম কাজীকে। এ ঘটনার পর ফেসবুকে ছাদিম কাজীকে অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ছাদিম কাজী জানান, তিনি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। গোপালগঞ্জ জেলা শহরে তিনি মুদি ব্যবসা করেন। এনসিপির কমিটিতে তার নাম দেখে অবাক হয়েছেন। তাই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন।
ছাদিম কাজী আরও বলেন, এসসিপির গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম তার স্কুলের বড় ভাই ছিলেন। তিনি হয়তো কমিটিতে তার নামটি দিয়ে থাকতে পারেন।
এ ব্যাপারে জানতে গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো.আরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়। তবে ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
আমারবাঙলা/জিজি