দেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার পপি (ববিতা) ছয় মাসের জন্য কানাডা পাড়ি দিচ্ছেন। একমাত্র পুত্র কানাডা প্রবাসী অনিককে সঙ্গে নিয়ে শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকা থেকে উড়াল দেবেন দেশটির উদ্দেশে।
অনিক ছোটবেলা থেকে কানাডাতেই থাকেন। সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করে সেখানেই শিক্ষকতা করছেন। কিছুদিন আগে দেশে এসেছেন এবং এবার মা চিত্রনায়িকা ববিতাকে নিয়ে কানাডায় যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ববিতা জানান, কানাডায় অনিকের কাজের ফাঁকে ওকে নিয়ে ঘুরে বেড়াব। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভাইদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে সমাজকল্যাণ মূলক সংগঠন ডিসিআইআইয়ের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কিছু কাজ করব।
বলে রাখা যায়, ২০১২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ববিতা বিশ্বব্যাপী বঞ্চিত নারী ও শিশুদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
ববিতা সম্পর্কে আরও জেনে নেওয়া যায়, কিংবদন্তি নির্মাতা জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে ১৯৬৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ববিতার। এখানে তিনি রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে ফরিদা আক্তার পপি থেকে ‘ববিতা’ হয় ওঠেন জহির রায়হানের উর্দু সিনেমা ‘জ্বলতে সুরুজ কি নিচে’র মাধ্যমে।
নায়িকা হিসাবে ববিতার প্রথম সিনেমা ‘শেষ পর্যন্ত’। এটি মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট, যেদিন ববিতার মা মারা যান। এতে তার নায়ক ছিলেন রাজ্জাক।
আলোচিত সিনেমা ‘টাকা আনা পাই’ ববিতাকে চলচ্চিত্রের শক্ত আসন দিলেও তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিনেমা বলা হয় সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’কে। এ সিনেমায় অভিনয় করে ববিতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ প্রশংসা অর্জন করেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন এ অভিনেত্রী। স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
ববিতা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে- ‘অশনি সংকেত’, ‘নিশান’, ‘মন্টু আমার নাম’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘স্বরলিপি’, ‘তিনকন্যা’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘মিস লঙ্কা’, ‘জীবন সংসার’, ‘লাইলি মজনু’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি, ইত্যাদি।
আমারবাঙলা/জিজি