ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ‘প্রকৃত’ আসামিদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা শাহবাগ থানা ঘেরাওয়ের পর তাঁরা এই আলটিমেটাম দিয়ে সরে যান।
শুক্রবার (১৬ মে) বেলা ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয় শিক্ষার্থীদের একটি দল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাঁরা শাহবাগ থানা ঘেরাও করেন। বেলা দেড়টা পর্যন্ত তাঁরা সেখানে অবস্থান করেন। ‘বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রসমাজ’ ব্যানারে তাঁরা শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন। শাহরিয়ার হত্যার সব আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
শাহরিয়ারের সহপাঠী শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মশিউর রহমান শুভ বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে তাঁরা আগামী রোববার পরবর্তী কর্মসূচি দেবেন।
আন্দোলনকারীরা প্রথমে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে এসে জড়ো হন। এখানেই শাহরিয়ার আলম পড়তেন। এরপর রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীরা 'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে', 'খুনি কেন বাইরে, প্রশাসন কী করে', 'আমার ভাই মরলো কেন, শাহবাগ থানা জবাব চাই'-সহ নানা স্লোগান দেন।
শাহরিয়ারের সহপাঠী তৌফিক-উল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তারা জড়িত থাকলেও প্রধান আসামি না। বাকি আসামিদের কেন ধরা হচ্ছে না, আমাদের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে।’ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে এই অহিংস আন্দোলন অন্য রূপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তৌফিক।
শাহবাগে অবস্থান নেওয়া শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মুন্সী বলেন, ‘এটি একটি নির্দলীয় ব্যানার। সাম্য ভাইয়ের লাশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল টালবাহানা শুরু করেছে। তাদের মুখ্য দাবি বিভিন্নজনের পদত্যাগ, কিন্তু আমাদের প্রধান দাবি সাম্য হত্যার বিচার।’
শাহরিয়ার হত্যার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁকে যে ছুরিকাঘাত করেছিল, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি জানিয়ে ইব্রাহিম মুন্সী বলেন, তাঁরা কারো ওপর হামলা বা পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসেননি। প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি নিয়ে এসেছেন।
আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল শাহবাগ থানায় আলোচনার জন্য যায়। প্রতিনিধিদলে বিভাগের শিক্ষক মু. আবদুস সালাম, অসীম দাস, মু. সিরাজুল ইসলাম ও শিক্ষার্থীরা ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থানা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে চলে যান।
আমারবাঙলা/জিজি