যেভাবে এগোচ্ছিলেন, ফিফটি তো বটেই আরো বড় কিছুকেও খুব সম্ভব বলে মনে হচ্ছিল। তবে দারুণ এক থ্রোতে রানআউট হয়ে ফিরতে হলো মুশফিকুর রহিমকে, ফিফটি থেকে ১ রানের দূরত্বে ফিরলেন তিনি। এর ঠিক পরেই গলের আকাশ কাঁদল অঝোরে। ধারাভাষ্যকারদের শঙ্কা, এবার ভারী বৃষ্টিই অপেক্ষা করছে গল টেস্টের অদৃষ্টে।
গল টেস্টে দিনের শুরুতে সব ধরনের সম্ভাবনার রাস্তা খোলা ছিল। এই টেস্টটা বাংলাদেশ জিততে পারে, আর এটার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। কম হলেও শ্রীলঙ্কার জেতার সম্ভাবনা একেবারেও কম নয়। দুই পক্ষের এই টেস্ট ড্রও হতে পারে। হয়ে যেতে পারে টাইও।
তবে সব সম্ভাবনার চাবিকাঠিটা বাংলাদেশের হাতে ছিল। মানে বাংলাদেশ না চাইলে এখান থেকে এক ফলাফলের অন্যথা হওয়া খুব একটা সম্ভব নয়, অবশ্য অতিমানবীয় কিছু হয়ে গেলে সেটা ভিন্ন কথা।
বাংলাদেশের চালকের আসনে থাকার বড় কারণটা ছিল মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ এক জুটি। প্রথম ইনিংসে রেকর্ড ছুঁইছুঁই ২৬৪ রানের জুটি গড়েছিলেন চতুর্থ উইকেটে। তেমন রেকর্ড না হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দুজন মিলে এই চতুর্থ উইকেট জুটিতেই যোগ করেছেন ১০৯ রান। আর সেটাই লঙ্কানদের জেতার আশা কমিয়ে দিয়েছে অনেকখানি।
তবে আজ পঞ্চম দিন সকালে দুজন বেশ ধীরগতিতে খেলেছেন। বাংলাদেশ দিন শুরু করেছিল ৫৭ ওভারে ১৭৭ রান নিয়ে। এরপর ১৯ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে স্রেফ ৬০ রান। সেটা টেস্টটাকে নিয়ে যাচ্ছে ড্রয়ের দিকেই।
মুশফিক আর শান্তর জুটি ভেঙেছে দারুণ এক রান আউটে। মিড অনে ঠেলে দিয়ে একটা রান নিতে চেয়েছিলেন মুশফিক। সেখান থেকে থারিন্দু রত্নায়েকের দারুণ থ্রো ভেঙে দেয় স্টাম্প, সেটা আবার মুশফিকের ক্রিজে ঢোকার আগেই। যার ফলে ৪৯ রানে ফিরতে হয় মুশফিককে। ফলে ১০৯ রানের জুটি ভেঙে যায় তাদের।
এই উইকেটের আগে থেকেই মাঠের বাইরে মাঠকর্মীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন কভার হাতে নিয়ে। মুশফিকের বিদায় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গলের আকাশ ভেঙে নামল বৃষ্টি। পুরো মাঠ ঢেকে দেওয়ার প্রক্রিয়াটাও শুরু হয়ে গেছে তখনই।
আমারবাঙলা/জিজি