গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সীমান্তে একের পর এক নৃশংস মানুষ হত্যার দায়ে জাতিসংঘের অধীনে ভারতকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একইসঙ্গে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনা বিষয়ে তিনি বলেন, জনসম্মুখে পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা অন্তর্বর্তী সরকারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণহীনতার বহিঃপ্রকাশ। চাঁদাবাজি ও বখরাবাজির কাঠামোকে অবিকল বহাল রেখে এই কাঠামোকে কেন্দ্র করে চলা সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে জাতীয় পরিষদের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চলমান দলীয় কর্মসূচি ও অন্যান্য সাংগঠনিক বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জনগণ এই আতঙ্ক তৈরির রাজনীতিকে আবার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটা অভ্যুত্থান ঘটায়নি। এরকম কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডকে জনগণ আর বরদাশত করবে না। যারা এই ধরনের কাজকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই এই রাজনীতি ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে, না হলে মানুষ জবাব দেবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের নেতা তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, হাসান মারুফ রুমী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, তরিকুল সুজন, কেন্দ্রীয় সদস্য অঞ্জন দাস, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নাজার আহমেদ, কেরামত আলীসহ দলের বিভিন্ন অঞ্চল ও শাখার নেতারা।
আমারবাঙলা/জিজি