বাড়ছে করোনা প্রকোপ। কিন্তু এখনো বিভিন্ন হাসপাতালের নেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি। করোনা আইসোলেশন সেন্টারের পাশাপাশি বেশিরভাগ হাসপাতালে নেই আইসিইউর ব্যবস্থা। রয়েছে জনবল সংকটও। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, দ্রুতই সব প্রস্তুতি শেষ হবে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে রয়েছে ১০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার। তবে হাসপাতালটিতে নেই কোনো আইসিইউ সুবিধা। এমনকি করোনা শনাক্তের জন্য নেই পিসিআর ল্যাবও। বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেলে দুটি পিসিআর ল্যাবসহ বিভিন্ন মেশিনারিজ অকেজো থাকায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
হাসপাতালে আসা এক রোগীল স্বজন বলেন, করোনা আসলে কি করবে জানি না। আমাদের লালমনিরহাটের হাসপাতালে করোনার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা নেই।
হাসপাতালের এক নার্স বলেন, ‘করোনা শেষ হওয়ার পর সফটওয়্যারটা নতুন করে সংশোধন করা হয় নাই। যার কারণে হাসপাতালে মেশিনগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।’
কিশোরগঞ্জে একমাত্র করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেলে রয়েছে ৭টি মাত্র আইসিইউ বেড। তবে কিছু যন্ত্রপাতির অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার বলেন, ‘এখানে শুধু হাইফ্লো অক্সিজেন আছে। বেডের চারপাশে আরও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন আছে, সেগুলো আমাদের নেই এবং এখানে আমাদের জনবল দরকার, চিকিৎসক দরকার।’
প্রকোপ বাড়লেও এখনো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে। হাসপাতালেটিতে নেই কোনো আইসোলেশন সেন্টার।
হাসপাতালে আসা এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘হাসপাতালে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নাই। আমার মনে হয় এইখানে করোনার জন্য সবকিছু প্রস্তুত করা হয়নি। এটি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
নওগাঁ হাসপাতালে নেই করোনা রোগীদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ড। জরুরি রোগীদের জন্য নেই আইসিইউর ব্যবস্থাও।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবু জার গাফ্ফার বলেন, ‘মেইনটেইন করার জন্য এক্সপার্ট লাগে। যারা আগে ছিলেন, মাঝখানে করোনা না থাকার কারণে তাদের তুলে নেওয়া হয়েছে। এই জনবলগুলো আশা করে আবার নিয়োগ করা হবে।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ৫০ বেডের আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হয়েছে ২০টি বেডের।
এদিকে যশোর সদর হাসপাতালের একটি আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে। আইসিইউতেও রিজার্ভ রাখা হয়েছে একটি বেড। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও পরিস্থিতি অনুযায়ী আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আমারবাঙলা/জিজি