মনোহরদীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে মাদ্রাসা শিক্ষক হত্যার বিচার দাবিতে মরদেহ নিয়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। আজ সোমবার (১৯ মে) সকাল দশটায় নিহতের বাড়ি হাফিজপুর থেকে মিছিল নিয়ে মনোহরদী থানায় আসেন শতাধিক নারী-পুরুষ।
জানা যায়, গত শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে আবুল কালামকে (৩২) এলোপাথারি কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানে গতকাল রবিবার (১৮ মে) ভোরে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আবুল কালামের পিতা আব্দুল আউয়াল এর সঙ্গে প্রতিবেশী শহীদুল্লাহর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার দুপুরে গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই পক্ষের মাঝে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে শহীদুল্লাহ তার পরিবারের লোকজন নিয়ে দেশি অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ফলে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় ও সেখানে তার মৃত্যু হয়।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার জানান, মারামারির ঘটনায় ঐদিনই থানায় মামলা হয়েছে। মৃত্যুর মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরা ঘটনার দিনই এ মামলার দুজন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। অন্যদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
আমারবাঙলা/ইউকে