নীলফামারী শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলবে কুখাপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের খাবার ভ্যান। এই ভ্যানেই বিক্রি করে থাকেন মাশরুমের নানা খাবার। পিঁয়াজু, চপ প্রভৃতি।
সোমবার (১৯ মে) বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দেখা মিলে হাবিবুর রহমানের। সেখানে বিক্রি করছেন মাশরুমের চপ। অফিস পাড়া হওয়ায় বিক্রিও হয়েছে অন্যান্য দিনের চেয়ে ভালো। হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতায় ঢাকা সাভারে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষাবাদ শুরু করেন তিনি। এজন্য অফিস থেকে দেয়া হয় প্রয়োজনীয় উপকরণ।
তিনি বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় সিলিন্ডারসহ ভ্যান পেয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে তার। মাশরুম নিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে খাবার তৈরি করে বিক্রি করছেন তিনি। প্রতিদিন এক হাজার টাকা বিক্রি হয় তার। প্রতি পিচ চপ বিক্রি করে থাকেন দশ টাকায়। তিনি আরো বলেন, তাকে দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এখন। প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন আরো ৩০ জন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা জায়, ৩ জন প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষ করছেন। পঞ্চপুকুর, ইটাখোলা ও কুখাপাড়া এলাকায় নিজে ছাড়াও আরো ৯০ জন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব উপকরণ সহায়তা করে থাকে অফিস থেকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ জানান, মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় চাষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। চাষের জন্য ঘরও করে দেয়া হয় অফিস থেকে।
একজন প্রশিক্ষিত চাষীকে আয়বর্ধক কাজের জন্য আমরা ভ্যানসহ গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে দিয়েছি, যাতে সে মাশরুমের খাবার বিক্রি করতে পারে। পাশাপাশি মানুষের যেন এই মাশরুমের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-পরিচালক ড. আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, জেলায় ৫ জন মাশরুম চাষী রয়েছেন। তিনজন উৎপাদন করছেন এবং বাকি দুজন প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মাশরুমের অনেক গুণ রয়েছে- ব্লাড প্রেশার কমানো, ওজন কমানো, দাঁত ও হাড় মজবুত করে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের আদর্শ খাবার হিসেবে এই মাশরুম গুরুত্বপুর্ণ।
আমারবাঙলা/ইউকে