নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বেনজীরকে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রীরা। দেশের মানুষকে জিম্মি করে সম্পদের পাহাড় গড়ার সুযোগও তারাই করে দিয়েছিলেন।
অবশ্য তিনি (বেনজীর) বিদেশে গেছেন কিনা, তা এখনও রহস্যঘেরা। তিনি এখন আটলান্টিকে তেলাপিয়া মাছ ধরছেন কিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা ভালো বলতে পারবেন।’
রোববার কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠিাতা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সততা, রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা ছিল তা অতুলনীয়। তিনি সাধারণ মানুষ ছিলেন না, তিনি ছিলেন বহু গুণে গুণান্বিত একজন অসাধারণ মানুষ। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করতেন না। খন্দকার মোশতাক ক্ষমতা দখল করে বঙ্গভবন থেকে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে দিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তার ছবি বঙ্গভবনে টাঙিয়ে ছিলেন। কিন্তু, শেখ হাসিনা হলেন চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ। তিনি শহিদ জিয়ার নাম বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।’
রিজভী বলেন, ‘সরকার পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ডিমের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে জনগণের নাভিশ্বাস তুলেছে। এই অতিরিক্ত টাকায় বিদেশি লোন পরিশোধ করছে। কারণ, বিদেশি লোন নিয়ে তা লুটপাট করেছে। জনগণের সরকার নয় বলে তারা খেয়াল-খুশি মতো দাম বাড়ায়। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম না বাড়লেও শুধু লুটপাট ও বিদেশে পাচারের উদ্দেশে তাদের দাম বাড়ানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাবতে অবাক লাগে একজন সোনা চোরাকারবারি কীভাবে এমপি হন? তারপর তিনি পাশের দেশে গিয়ে খুন হন। এখন পর্যন্ত তার লাশটিও পাওয়া য়াযনি। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মানুষের পকেট কেটে অনাহারে রেখে আওয়ামী লীগ ফূর্তি করতে ভালোবাসে। ১৯৭৪ সালেও মানুষকে কলাপাতা চিবিয়ে খেতে দেখেছি। ওরা মানুষের হাহাকার ও খাদ্য নিয়ে রসিকতা করে। খবরের কাগজে পড়ছি কোনো রকমে টিকে থাকার জন্য মা তার সন্তানকেও বিক্রি করে দিচ্ছেন।’
উপজলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুল ওয়াদুদ মুন্সির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আজহারুল ইসলাম শাহীনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মাহবুবুল ইসলাম, এমরামুজ্জান বিপ্লব, সালাউদ্দিন শিশির, শেখ শামীম, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকারক ও সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সি, বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ বকুল, যুবদল নেতা ওমর ফারুক কায়সার, জাকির হোসেন।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            