এক সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু হঠাৎ করেই হারিয়ে যান রূপালি পর্দা থেকে। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা একজন শিল্পীর এমন নিঃশব্দ বিদায় নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল ছিল দীর্ঘদিনের। সেই কৌতূহলের অনেকটাই এবার নিজেই দূর করলেন তিনি।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অংশ নিয়ে জীবনের ব্যক্তিগত অধ্যায় নিয়ে কথা বলেন বিন্দু। সেখানেই প্রথমবারের মতো সরাসরি জানান—তার বৈবাহিক সম্পর্ক আর নেই। তার ভাষায়, ২০২২ সালেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগে কোনো ঘোষণা না দেওয়ায় অনেকেই এখনো ধরে নেন তিনি বিবাহিত। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, বর্তমানে তিনি একা।
বিন্দু জানান, দাম্পত্য জীবন খুব বেশি দিনের না হলেও দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা থাকার বাস্তবতা ছিল। ২০১৭ সাল থেকেই তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। তবে সম্পর্ক ভাঙার পেছনের কারণ প্রকাশ করতে চান না তিনি। তার মতে, এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অন্য একজন মানুষের জীবন জড়িয়ে আছে, তাই সম্মানবোধ থেকেই নীরব থাকাই শ্রেয়।
অভিনয় থেকে দূরে সরে যাওয়ার বিষয়েও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন এই অভিনেত্রী। তিনি জানান, সংসারের জন্য কাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই তার নিজের। কোনো চাপ বা বাধ্যবাধকতা নয়, বরং সাধারণ মানুষের মতো স্বাভাবিক পারিবারিক জীবন কাটানোর ইচ্ছাই তাকে এই পথে এনেছিল।
২০১৪ সালে বিয়ের পরপরই মিডিয়ার আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিন্দু। দীর্ঘ সময় পর ২০১৯ সালে একটি ম্যারাথন আয়োজনে তাকে দেখা গেলেও অভিনয়ে নিয়মিত ফেরা হয়নি। পরে ২০২২ সালে আরিফিন শুভর সঙ্গে ‘উনিশ২০’ সিনেমায় অভিনয় করলেও এরপর তাকে আর দেখা যায়নি।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০০৬ সালে লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন আফসান আরা বিন্দু। নাটক থেকে সিনেমা—সবখানেই তিনি নিজের অভিনয় ছাপ রেখেছেন। বিশেষ করে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় আলাদা করে নজর কাড়েন তিনি।
আমারবাঙলা/এসএবি