লিটন কুমার দাস প্রতিষ্ঠিত একটি দল নিয়ে খেলতে চান এশিয়া কাপে। অভিজ্ঞতা সঙ্গী করে যেতে চান বিশ্বকাপে। সেই দল গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন গত মে মাসে আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ দিয়ে। আইসিসির সহযোগী দেশের কাছে সিরিজ হারের পর থেকে একটু একটু করে উন্নতি করছে লিটনের দল। শ্রীলঙ্কা সফর থেকে জয়ের ছন্দ ফিরেছে টি২০ দল।
দেশের মাটিতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতেছে। এই ধারাবাহিকতা লিটনকে উজ্জীবিত করছে গেল সিরিজের স্কোয়াড ধরে রাখতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিকল্প ওপেনার হিসেবে নাঈম শেখকেও ১৫ জনে রাখার পক্ষে টিম ম্যানেজমেন্ট। নির্বাচন প্যানেল গতকাল পর্যন্ত তাতে আপত্তি করেনি বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের বর্তমান টি২০ দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার লম্বা সময় ধরে একসঙ্গে খেলছেন। ফর্ম না থাকায় দুই সিরিজ ধরে ১৫ জনের স্কোয়াডে নেই নাজমুল হোসেন শান্ত। বাঁহাতি এই টপঅর্ডার ব্যাটার ছন্দে না থাকায় নাঈম শেখকে নেওয়া হয় বিকল্প হিসেবে। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের পর শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি২০ সিরিজে ভালো করেননি নাঈম। অস্ট্রেলিয়া সফরে ‘এ’ দলের হয়েও ডারউইনের টপ এন্ড টি২০ সিরিজে ভালো খেলছেন না। জাতীয় এবং ‘এ’ দলের হয়ে খেলা শেষ ৭ ম্যাচে বাঁহাতি এ ব্যাটারের রান-৩২*, ৩, ১০, ৫, ২৫, ৫, ২৫। টি২০ মেজাজ ছিল খুব কম ম্যাচেই।
সে তুলনায় উদীয়মান ওপেনার জিসান আলম ডারউইনে ভালো খেলেছেন। পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে ১৭ বলে ৩৩, নেপালের বিপক্ষে ৪৬ বলে ৭৩, পার্থ একাডেমির বিপক্ষে ৯ ও নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইকের বিপক্ষে ৩০ রান করেন ২৩ বলে। ডানহাতি এ ব্যাটারের স্ট্রাইকরেটও ভালো। দক্ষিণ আফ্রিকা এমার্জিং দলের বিপক্ষে ৩১ ও ৫০ রানের ইনিংস আছে ২০ বছর বয়সী এ ব্যাটারের। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিকল্প হিসেবে উদীয়মান এই ব্যাটারের সুযোগ পাওয়া উচিত বলে মনে করেন একজন কোচ। ওই কোচ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নাঈমের পারফরম্যান্স কাঙ্ক্ষিত না। সেখানে জিসান ভালো করছে। তাকে দলের সঙ্গে রেখে আত্মবিশ্বাস দেওয়া যেতে পারে।’
লিটনের দলে শান্তর ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ বাঁহাতি শান্ত তিন নম্বরে ব্যাট করেন। ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে পারভেজ হোসেন ইমন জুটি বাঁধায় লিটন খেলেন ওয়ান ডাউনে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হোম সিরিজে ফেরা হচ্ছে না টপঅর্ডার ব্যাটার সৌম্য সরকারের। উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানও টি২০ দলের বিবেচনায় সেভাবে নেই। এশিয়া কাপের প্রস্তুতির সিরিজে চারজন পেসার নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নেওয়া হবে অলরাউন্ডার কোটায়।
শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেনের সঙ্গে বাঁহাতি নাসুম আহমেদ থাকবেন স্পিন বিভাগে। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে পেস বিভাগ। মিডলঅর্ডার ব্যাটিংয়ে তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শেষ দুই সিরিজের দলে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন ১৫ দিন। তাঁর বদলি নাও নেওয়া হতে পারে হোম সিরিজে।
আমারবাঙলা/জিজি