৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য দিন ডিসেম্বর ৫ তারিখ বিকেলে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে পাক বাহিনী। রাতভর চলে তুমুল যুদ্ধ। একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে মুখে টিকতে না পেরে ৬ ডিসেম্বর ভোরে মেহেরপুর ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকবাহিনী। যাওয়ার সময় জেলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়ে যায়। সকালে মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দ উল্লাস করতে করতে রাস্তায় নেমে আসে। তাই, এই দিনটিকে ঘিরে নানা আয়োজন পালন করছে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসন ও জেলার মুক্তিযোদ্ধারা।
দিনটি পালন উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন জেলা প্রশাসক ড. সৈয়দ এনামুল কবীর। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম সোনার নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। আয়োজন করা হয় দোয়া ও মোনাজাতের। আজ সকাল ১০টার দিকে ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্ক থেকে আয়োজন করা হয় শোভাযাত্রা। পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের হলরুমে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনাসভায় প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।
আমার বাঙলা.আরএ