লিগস কাপে ইন্টার মায়ামি বনাম নেকাখসার ম্যাচে সবার চোখ ছিল লিওনেল মেসির ওপর। মেক্সিকোর ক্লাবটির বিপক্ষে মেসি শুরুটাও করেছিলেন দারুণ। খেলা শুরুর ৭ মিনিটের মাথায় দারুণভাবে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আক্রমণেও যান আর্জেন্টাইন মহাতারকা। কিন্তু ড্রিবল করে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি। প্রতিপক্ষ বক্সের কাছাকাছি যাওয়ার পর মেসিকে ঠেকানোর জন্য এগিয়ে আসেন নেকাখসার দুই খেলোয়াড় রাউল সানচেজ এবং আলেক্সিস পেনা।
এ দুজনের ট্যাকলেই বক্সের ভেতর হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান মেসি। এই পড়ে যাওয়াটাই শেষ পর্যন্ত বিপদ ডেকে এনেছে। উঠে দাঁড়িয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত আর পারেননি। এ সময় মেসির মুখের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল তাঁর চোটে পড়ার কথা। চোট নিয়েই শেষ পর্যন্ত ১১ মিনিটে মাঠ ছেড়ে যান মেসি। তাঁর বদলে মাঠে নামেন ফেদেরিকো রেদোনদো।
ম্যাচ শেষে মেসির চোট নিয়ে মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো বলেছেন, ‘আগামীকাল পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারছি না। হয়তো এটা গুরুতর কিছু হবে না কারণ তার ব্যথা নেই। কিন্তু সে অস্বস্তি বোধ করছে।’
মেসির চোটে পড়ার ম্যাচে ইন্টার মায়ামি অবশ্য শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতায় থাকার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ৫-৪ গোলে বাজিমাত করেছে মায়ামিই।
লিগস কাপের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে জিতলে একটি দল পয়েন্ট পায় ৩, আর নির্ধারিত সময়ে ম্যাচে সমতা থাকার টাইব্রেকারে জিতলে পয়েন্ট ২। সে হিসাবে ২ ম্যাচে মায়ামির পয়েন্ট এখন ৫। আগের ম্যাচে আটলাসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছিল তারা।
ঘরের মাঠে মেসিকে হারানোর ধাক্কা সামলেও শুরুটা ইতিবাচক ছিল মায়ামির। ১২ মিনিটে তেলেসকো সেগোভিয়ার গোলে লিড নেয় মায়ামি। কিন্তু ম্যাচের ১৭ মিনিটেই দ্বিতীয় ধাক্কা খায় মায়ামি। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ম্যাক্সিমিলিয়ানো ফ্যালকন। ১০ জনের দল নিয়ে চাপে থাকা মায়ামি লিড হারায় ৩৩ মিনিটে। থমাস বাদালোনির গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় নেকাখসা। সমতাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতির পর ৬০ মিনিটে নেকাখসার ক্রিস্টিয়ান ক্যালদেরন লালকার্ড দেখলে খেলোয়াড় সংখ্যার দিক থেকেও সমতা আসে ম্যাচে। তবে ৮১ মিনিটে মায়ামিকে হতাশ করে নেকাখসাকে লিড এনে দেন রিকার্ডো মনরিয়েল।
এরপর ম্যাচে নেকাখসা যখন জয়ের অপেক্ষায় তখনই দারুণ এক গোলে মায়ামিকে ম্যাচে ফেরান জর্দি আলবা। যোগ করা সময়ে প্রথম মিনিটে আলবার এই গোলই ম্যাচ নিয়ে যায় টাইব্রেকারে। যেখানে নিজেদের মায়ামির প্রথম ৫ খেলোয়াড়ের প্রত্যেকে গোল করলেও নেকাখসার গোল করতে পারে ৪ খেলোয়াড়। গোল মিস করেন থমাস বাদালোনিনি।
লিগস কাপে ইন্টার মায়ামির পরের ম্যাচ আগামী বৃহস্পতিবার পুমাসের বিপক্ষে।
আমারবাঙলা/জিজি