বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সম্প্রতি ভারতের তৈরি তিনটি কফ সিরাপ সম্পর্কে সতর্কবার্তা জারি করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, শিশুদের জন্য ব্যবহৃত এই ওষুধগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি বিষাক্ত রাসায়নিক 'ডায়াথিলিন গ্লাইকোল' পাওয়া গেছে, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সতর্ক করা সিরাপ তিনটি হলো—‘কোল্ডরিফ’ (শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালস), ‘রেসপিফরেশ টিআর’ (রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস) এবং ‘রিলাইফ’ (শেপ ফার্মা)।
শিশুদের জন্য ব্যবহৃত ভারতের তিনটি কফ সিরাপকে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি জানিয়েছে, শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘কোল্ডরিফ’, রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘রেসপিফরেশ টিআর’ এবং শেপ ফার্মার ‘রিলাইফ’ কফ সিরাপগুলোতে ডায়াথিলিন গ্লাইকোল নামক বিষাক্ত রাসায়নিকের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫০০ গুণ বেশি। এই মাত্রাতিরিক্ত বিষক্রিয়াই শিশুদের জীবন বিপন্ন করতে পারে বলে ডব্লিউএইচও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সম্প্রতি ভারতের তিনটি কোম্পানির তৈরি কফ সিরাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির দেওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘কোল্ডরিফ’, রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালসের ‘রেসপিফরেশ টিআর’ এবং শেপ ফার্মার ‘রিলাইফ’—এই তিনটি কফ সিরাপে ডায়াথিলিন গ্লাইকোল নামের বিষাক্ত রাসায়নিকটি অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি পাওয়া গেছে। এই অতিরিক্ত মাত্রা শিশুদের জন্য গুরুতর ও প্রাণঘাতী ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
গত আগস্ট মাসে, ভারতেরই ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি ‘কোল্ডরিফ’ সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হয় ১৭ জন শিশুর। এর আগে, ২০২৩ সালে আরও এক ভারতীয় কোম্পানির কফ সিরাপ খেয়ে উজবেকিস্তান, ক্যামেরুন ও গাম্বিয়ায় মারা যায় ১৪১ শিশু।
এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ভারতীয় ওষুধের গুণগত মান নিয়ে। বিশেষ করে শিশুদের ব্যবহারের জন্য তৈরি ওষুধ নিয়ে।
ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিসসিও) জানিয়েছে, ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা সম্পর্কে তারা অবগত এবং এটি আমলে নেওয়া হয়েছে। সিডিসসিও’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওষুধের মাননিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও কঠোর ও নিখুঁত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সিরাপগুলো যেন বাজারজাত না হয় বা শিশুদের ব্যবহারে না আসে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগেও একাধিকবার ভারতীয় ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ২০২২ সালের শেষ দিকে গাম্বিয়ায় ভারতীয় সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এবার ফের একই ধরনের অভিযোগে বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় ওষুধ শিল্পের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র: রয়টার্স
আমারবাঙলা/এফএইচ