গাজা উপত্যকায় আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সোমবার (১৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার কিছু পর প্রথম দফায় ৭ জন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করলেও, এখন পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্তদের নাম বা পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া ইসরায়েল সরকার বা সেনাবাহিনী থেকেও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
এই মুক্তি প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে গঠিত যুদ্ধবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনার অংশ। গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর চতুর্থ দিনে এসে শুরু হয় জিম্মি বিনিময়ের প্রক্রিয়া।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার আওতায় গঠিত যুদ্ধবিরতির মূল তিনটি শর্ত— গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করা, ইসরায়েলি সেনাদের নির্দিষ্ট সীমানা পর্যন্ত সরিয়ে আনা, এবং জিম্মি ও বন্দি বিনিময়। এই পরিকল্পনা অনুযায়ীই প্রথম ধাপে সাতজন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন।
এদিকে একই সময়ে মিসরের শারম আল-শেখ শহরে শুরু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন। সম্মেলনে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেন ট্রাম্প। গাজা যুদ্ধ বন্ধে এটি হতে যাচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ।
এর আগে, রোববার দিনভর হামাস ও ইসরায়েল একাধিক দফায় বন্দি বিনিময় নিয়ে কাজ করেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজকের মধ্যে আরও জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে হামাসের যোদ্ধারা। তারা প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর এখনও ৪৮ জন জিম্মি গাজায় অবস্থান করছেন।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত। বাকি ২৮ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি থাকা ১ হাজার ৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এই বন্দিদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। এছাড়া মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২২ জন শিশু রয়েছে বলেও জানা গেছে। সূত্র: বিবিসি
আমারবাঙলা/এফএইচ