চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলায় বাবার বকা খেয়ে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন উম্মে সায়িরা রুশ্নি (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।
মোবাইল আসক্তি, সামান্য বকা আর তীব্র অভিমান—এই তিনের সংঘাতে অকালে ঝরে গেল একটি সম্ভাবনাময় জীবন। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বাবার বকা খেয়ে এবং মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলায় উম্মে সায়িরা রুশ্নি (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার বিকেলে মরিয়মনগর ইউনিয়নের গাজি রশিদিয়া পাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
রুশ্নি কাপ্তাই নৌ-বাহিনী কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মোবাইলের প্রতি তার মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি নিয়ে পরিবার উদ্বিগ্ন ছিল। এই আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে একপর্যায়ে অভিভাবক তার ব্যবহৃত মোবাইলটি ভেঙে দেন। বাবার এই বকা ও ফোনে অভিমান করে ঘরের ভেতরেই তিনি গলায় ফাঁস দেন।
রুশ্নির মৃত্যু কেবল একটি পারিবারিক ট্র্যাজেডি নয়, এটি আধুনিক সমাজে দ্রুত বেড়ে চলা ইন্টারনেট ও মোবাইল আসক্তির ভয়াবহ পরিণতি এবং অভিভাবক-সন্তানের সম্পর্কের সংঘাতের এক নির্মম প্রতিচ্ছবি। একজন মেধাবী ছাত্রীর এমন করুণ পরিণতি এলাকার মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি আরমান হোসেন জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমারবাঙলা/এনইউআ