নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর পাড় প্রতিনিয়ত ভাঙছে। ভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট। নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলার স্কুল–কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় ভাঙনকবলিত চানন্দী ইউনিয়ন দরবেশ বাজারে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মেঘনার পাড়ে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তাঘাট নদীর পেটে চলে গেছে।
বক্তারা আরও বলেন, দ্রুত ব্লক নির্মাণ ও জিও ব্যাগ ফেলে নদীভাঙন রোধ করে লাখ লাখ মানুষকে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সুবর্ণচর উপজেলার হাজী মোশারফ হোসেন কলেজের শিক্ষার্থী মো. সামাদ উদ্দিন চাঁদ মিয়া, ফাতেমা খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌসি, মাইমুনা আক্তার, শিক্ষিকা রোমানা আক্তার, আশরাফুল ইসলাম রাকিব, পিংকি রানী, আজাদ হোসেন আনসারী, মোবারক করিম, হাতিয়ার বিশিষ্ট সমাজসেবক এম কে বেলাল হোসেন, বোরহান শিকদার, আলা উদ্দিন, মো. কবির, মো. সুমন, রিদম কেরানী, আবদুল কালাম প্রমুখ।
আমারবাঙলা/এফএইচ