নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাদেক মিয়া নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে ১০ জন।
স্থানীয়রা জানান, চরাঞ্চলের আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী ও সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাইয়ুম মিয়ার সমর্থক ইদন মিয়া নিহত হয়। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর কাইয়ুম বাহিনীর হামলায় শাহ আলম গ্রুপের সমর্থক ফেরদৌসী আক্তার মারা যায়। এরপর থেকে কাইয়ুম মিয়ার সমর্থকরা বাড়িছাড়া হয়ে যায়। প্রায় ১০ দিন বাড়িছাড়া থাকার পর আজ (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটায় কাইয়ুম বাহিনীর সমর্থকরা এলাকায় উঠতে চাইলে শাহ আলম বাহিনী স্থানীয় আওয়ামী লীগের আসাদ উল্ল্যাহ ও দিপু গ্রুপের সহায়তায় তাদের প্রতিহত করতে গুলি চালায়। এতে আলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক মিয়া নিহত হয়। আহত হয় ১০ জন।
নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর ইদন মিয়া মারা যাওয়ার পর আমরা এলাকাছাড়া ছিলাম। দশ দিন পর আজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ আমাদের ওপর গুলি চালায়। এতে সাদেক মিয়া মারা যায় এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় ১০-১২। চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধের জের হিসেবে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে কারা এই হামলার জন্য দায়ী এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাদের দাবি, আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ এবং সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিপুর লোকজন এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
নিহতের স্বজন নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ফরিদা গুলশানারা কবির জানান, নরসিংদীর চরাঞ্চল আলোকবালী থেকে আজ সকালে সাদেক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়া আহত আরো ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নরসিংদী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জানান, নরসিংদীর চরাঞ্চল আলোকবালীতে দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে সাদেক নামে একজন নিহত হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় এখন শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।
আমারবাঙলা/এফএইচ