নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে । এরমধ্যে ৪১ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হয়নি আরও ৫ জনের মরদেহ। পরিচয় নিশ্চিত হয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে ৩৮টি মরদেহ। শুক্রবার সকালে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আহতদের খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসায় যা যা দরকার সব ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এসময় হাসপাতালে ভিড় না করার জন্য অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বেইলি রোডে আগুন লাগা বহুতল ভবনটির নির্মাণ ত্রুটি ছিল । সেখানে কোনো ফায়ার এক্সিট ছিল না। শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বীমা দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেইলি রোডে যে আগুনটা লাগলো, সেখানে একটা বহুতল ভবন, সেখানে কোনো ফায়ার এক্সিট নেই।নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সব সময় আমাদের যারা আর্কিটেক্ট তাদের অনুরোধ করি, আপনারা অন্তত পক্ষে যখন ঘরবাড়ি তৈরি করেন, একটু খোলা বারান্দা, ফায়ার এক্সিট বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু যারা (ভবন) তৈরি করতে চায়, আর্কিটেক্টরাও ওরকম ডিজাইন ঠিক মতো করবে না। আবার মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, (বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে) ৪৫ জন মানুষ মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? অথচ ফায়ার এক্সটিংগুইশার লাগানো, অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে বারবার আমরা নির্দেশ দিচ্ছি। সেটা কিন্তু আর মানে না। আর আমি জানি এখানে নিশ্চয়ই ইনস্যুরেন্স নেই, কাজেই তারা কিছু পাবেও না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতাটা খুব বেশি প্রয়োজন।
জানা যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ওই বহুতল ভবনে লাগা ভয়বহ আগুন দুই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। সেইসঙ্গে ১৫ নারীসহ ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত ১১-৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৯টা ৫৬ মিনিটে। পরে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে আরও ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র্যাব ও এনএসআই।
বহুতল ভবনটিতে অবস্থিত ফুওকো রেস্টুরেন্টের মালিক ডা. নাইম বলেন, আমাদের ভবনের নিচে ছোট একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার পর পরই আমার স্টাফদের বারান্দা দিয়ে নামিয়েছি। তারা সবাই আহত। ভবনটিতে পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ জনপ্রিয় বিপণিবিতানও রয়েছে।
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            