২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘মাসান’। সমালোচকপ্রিয় ও বহুল প্রশংসিত এ ছবির মধ্য দিয়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন কয়েকজন নবাগত, যাঁদের অন্যতম অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠি। সম্প্রতি ছবিটির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতীয় গণমাধ্যম দৈনিক ‘অমর উজালা’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনয়জীবনের সূচনালগ্নে ফিরে গেলেন স্মৃতিকাতর শ্বেতা।
শ্বেতার ভাষায়, ‘“মাসান” যে ১০ বছর পেরিয়ে গেছে, ভাবতেই হৃদয় পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ১০ বছর মানে অনেক কিছু বদলে যাওয়ার সময়। এক শিশু বড় হয়ে যায়। আমার জন্য মুহূর্তটা অত্যন্ত আবেগঘন।’
অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা আর নিবেদন শুরু থেকেই শ্বেতার ভেতরে ছিল। প্রথম ছবিতেই সেই প্রমাণ মিলেছিল। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যখনই “মাসান”-এর কথা ভাবি, আনমনেই খুশি হয়ে উঠি। এ ছবিই আমাকে পরিচিতি দিয়েছে, অভিনয়ের প্রতি আমার ভালোবাসা আর আবেগ তুলে ধরেছে।
“মাসান”ই আমার পথ ঠিক করে দিয়েছিল। যদি ১০ বছর আগের শ্বেতার সঙ্গে আজকের শ্বেতার দেখা হতো, তাহলে আমি তাকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ দিতাম।’ অভিনেত্রী মনে করেন, ১০ বছর আগে নেওয়া এক সিদ্ধান্তেই তাঁর ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে যায়। এ জন্য তিনি নিজেকে ধন্যবাদ দিতে চান।
‘মাসান’ ভিকি কৌশলেরও প্রথম ছবি। আজ তিনি বলিউডের অন্যতম শীর্ষ অভিনেতা। সহশিল্পী প্রসঙ্গে শ্বেতা বলেন, ‘ভিকির সঙ্গে একবার কাজ করলে যে কেউ দ্বিতীয়বার কাজ করতে চাইবেন। ভিকি শুধু দক্ষ অভিনেতাই নন, দুর্দান্ত একজন মানুষও। অভিনয় মানে শুধু নিজের সংলাপ বলাই নয়, অন্যজনের কথাও অনুভব করা-এ জায়গায় ভিকি অনন্য। আমি সব সময় চাই ভিকি যেভাবে কাজ করতে চায়, সেটাই যেন করতে পারে। কারণ, সফলতার সংজ্ঞা সবার কাছে আলাদা। আর ভিকি সব ধরনের সফলতার দাবিদার।’
শুধু অভিনয়েই নয়, এবার প্রযোজনার জগতেও পা রাখতে চলেছেন শ্বেতা। জানিয়েছেন, ‘এমন গল্পই বেছে নিতে চাই, যা আমার হৃদয় থেকে সরাসরি দর্শকের হৃদয়ে পৌঁছাবে। আলাদা সংস্কৃতি আর আলাদা দেশের মানুষের মনেও যেন ছুঁয়ে যেতে পারে আমার কাজ।’
‘মাসান’-এ শক্তিশালী সূচনার পর ‘মির্জাপুর’, ‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’, ‘মেড ইন হেভেন’, ‘কালকূট’সহ একাধিক সিরিজ ও সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন শ্বেতা। অভিনয় আর গল্প নির্বাচনে তাঁর মুনশিয়ানা আজও তাঁকে আলাদা একটি অবস্থানে রাখছে। অভিনয় আর প্রযোজনার মধ্য দিয়ে এ ধারা অব্যাহত রাখতে চান তিনি।
আমারবাঙলা/জিজি