কক্সবাজার শহরের ঝিলংজা এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ জেলা যুবদল নেতা ফারুক (৩৭) মারা গেছেন। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা ১৯ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে কক্সবাজারে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ঝিলংজা ইউনিয়নের উত্তরণ আবাসিক এলাকার প্রধান সড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সে সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি দল অতর্কিতভাবে জেলা যুবদল নেতা ফারুক ও তার সহযোগী সাইফুল ইসলামকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুলিতে ফারুকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
একই ঘটনায় আহত যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম বর্তমানে কক্সবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ‘বাবু বাহিনী’ জড়িত ছিল। ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে বান্দরবানের লামা উপজেলার একটি দুর্গম রিসোর্ট থেকে হামলাকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত ফারুক জেলা যুবদলের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই হত্যাকাণ্ডকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আমারবাঙলা/এনইউআ