মৌলভীবাজারে শুরু হয়ে গেছে শীতের দাপট। ডিসেম্বরের ১ম সপ্তাহেই ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় পুরো জেলায় প্রতিদিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। দেশের আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে উপজেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেঁতুলিয়া ও পঞ্চগড়ে।
শনিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চারপাশ কুয়াশার চাদরে ঢাকা। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষের চলাচল কম। অনেকে গরম কাপড়ে নিজেকে ঢেকে কাজে বের হলেও অনেকেই শীতের তীব্রতায় ঘরেই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। সূর্য ওঠার পরেও রোদের তাপ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এলাকার খেটে-খাওয়া মানুষ, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের শ্রমজীবীরা। বিশেষ করে জীবিকার তাগিদে শীত-কুয়াশা উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের কষ্ট যেন আরও বেড়েছে।
শহরের মুসলিমবাগ এলাকার রিকশাচালক আতাউর রহমান বলেন, “তীব্র ঠান্ডার মধ্যেও রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। লোকজন এখনো শহরমুখী হয়নি। সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো যাত্রী পাইনি। এখনই শীতের যে দাপট, সামনে শীতে সংসার কীভাবে চলবে-চিন্তায় আছি।”
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান জানান, শ্রীমঙ্গলে প্রতিদিনই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকলেও আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ ডিগ্রিতে। শনিবার সকাল ৬টায় রেকর্ড করা এই তাপমাত্রাই চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীত এভাবে শুরু হওয়া মানে সামনের দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
আমারবাঙলা/এসএ