দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মাতাসাগরে (এসআইসিআইপি) প্রকল্পের অধীনে প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিংস অকুপেশনে অতিথি প্রশিক্ষক (গেস্ট ট্রেইনার) পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ই-মেইলে অভিযোগ পত্র দিয়েছেন ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্মারক নং: ৪৯.০১.২৭০০.০০৩.১৮.০০১.২৫.১০৭৫, তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২৫ অনুযায়ী, ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন লিখিত, প্র্যাকটিক্যাল ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে ৩নং প্রার্থী মো. আব্দুল খালেক নির্বাচিত হলেও, তার প্লাম্বিং কাজে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা নেই বলে দাবি করেছেন অন্য প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচিত ৩নং প্রার্থী দিনাজপুরের বাসিন্দা মো. আব্দুল খালেক পূর্বে (এসইআইপি) দিনাজপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (ম্যাশনারী) রাজমিস্ত্রি অকুপেশনের ট্রেইনার/ প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন, কিন্তু প্লাম্বিংয়ে তার দক্ষতা নেই।
প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় তিনি ডাইস্টক সেট করতে ব্যর্থ হন এবং পাইপে থ্রেড টেপ প্যাঁচাতে পারেননি। বেসিন ইনস্টলেশনে তিনি নির্দিষ্ট উচ্চতায় মিরর স্থাপন করতে ব্যর্থ হন (১২০০ মি.মি পরিবর্তে ১১২০ মি.মি.) এবং শাওয়ার লাইনে লিকেজ ছিল। প্লাম্বিং এর উপর (এনএসডিএ) (বিটিইবি) এর অধীনে কোনো ধরনের স্কিল লেভেল করা নেই, এমনকি (লেভেল-৪) করাও নেই উনার। তিনি ভাইভাতেও ভালোভাবে কথা বলতে পারেননি।
৪নং প্রার্থী গীতা রাণী সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জব (প্রাকটিক্যাল) কাজ শেষ করতে পারেননি, ৫নং প্রার্থী গয়েশ্বর রায় প্রাকটিক্যাল এর মাঝামাঝি সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
অভিযোগকারী ১ ও ২নং প্রার্থী রংপুরের বাসিন্দা মো. আব্দুল খালেক ও দিনাজপুরের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, লিখিত ও প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় যথাযথভাবে অংশগ্রহণ করে সফল ভাবে কাজ সম্পন্ন করি ও মৌখিক পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাসের সাথে সকল প্রশ্নের জবাব দেই।
তারা অভিযোগ করেন, অদক্ষ প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়েছে, কেনো প্রকৃত যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই অনিয়ম ও পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। তারা স্বচ্ছ তদন্ত কামনা করেছেন, যাতে যোগ্য প্রার্থীরা তাদের অধিকার পায়।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো‘র উপ পরিচালক মোঃ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি আমার দায়িত্বে পরেনা তবে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমারবাঙলা/ইউকে