সংগৃহিত
লাইফস্টাইল

স্টেরয়েড প্রয়োগে মোটাতাজা গরু চেনার উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক: পবিত্র ঈদুল আজহা আসন্ন। আগামী সপ্তাহে ত্যাগের আনন্দে মেতে উঠবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এদিন আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তারা পশু কোরবানি দেবেন। এ জন্য এখন থেকেই অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাখছেন গরুর হাটের খোঁজখবর।

কারণ এখনও দেশের অধিকাংশ মানুষ গরুর হাট থেকেই কোরবানির উদ্দেশ্যে পশু বাছাই করে কেনেন। এবং কোরবানির পশু হিসেবে সুস্থ, সবল মোটাতাজা গরু থাকে পছন্দের শীর্ষে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। বেশি লাভের আশায় তারা কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করেন। এ ধরনের গরুর মাংস মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর জেনেও তারা স্টেরয়েড ইনজেকশন প্রয়োগ করে গরু মোটাতাজা করেন।

অনেক ক্রেতা বিষয়গুলো না বুঝে ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পা দেন। তারা শুধু স্বাস্থ্য দেখেই কোরবানির গরু পছন্দ করেন। কিন্তু প্রকৃত স্বাস্থ্যবান, সুস্থ গরু এবং স্টেরয়েড ইনজেকশন প্রয়োগ করে মোটাতাজা গরুর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। একটু সচেতন হলে গরুর হাটে গিয়ে ঠকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। যেমন সুস্থ প্রাণী, গরু কিংবা খাসির চামড়া থাকবে মসৃণ। রং যাই হোক, উজ্জ্বল দেখাবে। চামড়ায় অবাঞ্ছিত দাগ থাকবে না।

গরুর শরীরে হাত রাখলে সাড়া দেবে। মুখের সামনে খাবার ধরলে খাওয়ার চেষ্টা করবে। অনেক সময় নতুন পরিবেশে গরু খাবার খেতে অনাগ্রহ দেখাতে পারে, তবে সুস্থ গরু সর্বদা চঞ্চল থাকবে।

গরু কেনার আগে লক্ষ্য রাখতে হবে, গরুর মুখ থেকে অনবরত লালা ঝরছে কিনা, মুখের দু’পাশে ফেনা জমেছে কিনা। খুব বেশি এমন মনে হলে সেই গরু কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরুর মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা ঝরে। লালা অনেক সময় ফেনাযুক্ত হতে পারে।

সুস্থ গরু নিয়মিত জাবর কাটে। প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করা পশুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে মাংস খুব বেশি দেবে যাবে না। গেলেও দেবে যাওয়া অংশটুকু আগের অবস্থায় দ্রুত ফিরে আসবে। স্টেরয়েড প্রয়োগ করে গরু মোটাতাজা করলে সেই গরুর গায়ে চাপ দিলে মাংস দেবে যাবে। এবং সেখানে আঙুলের বসে যাওয়া চিহ্ন দেখা যাবে। মনে রাখতে হবে, এ ধরনের গরুর শরীর ভারী হয়ে যায়। শরীরে পানি জমার কারণে সহজে হাঁটতে চায় না। এ জন্য গরু কেনার আগে হাঁটিয়ে দেখা ভালো।

এ ছাড়া এ ধরনের গরু আয়েশি স্বভাবের হবে। নড়াচড়া কম করবে। নাক থাকবে শুকনা। গরু ঘন ঘন শ্বাস নেবে। সহজে খাবার খেতে চাইবে না। এসব গরুর দেহের তাপমাত্রাও অনেক বেশি থাকবে। অবশ্য নানা কারণে পশুর দেহের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। যেমন গরমে দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া। প্রাকৃতিক উপায়ে বড় হওয়া গরুর শরীরের তাপমাত্রা এ কারণে বৃদ্ধি পেলেও তা খুব বেশি স্থায়ী হবে না।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

এমিতে ‘অ্যাডোলেন্স’-এর জয়জয়াকার

বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘোষণা করা হলো ৭৭তম এমি অ্যাওয়ার্ডস।...

লন্ডনে বাংলাদেশি মাকে ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য, ছেলের ওপর হামলা

লন্ডনে হামলার শিকার হয়েছেন এক বাংলাদেশি তরুণ। তরুণের ভাষ্য, তাঁর হিজাব পরা মা...

রাকসু নির্বাচনে কার কী প্যানেল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনের এ পর্যন্ত নয়টি প্...

হাত না মেলানো : ভারতের ব্যাখ্যা, পাকিস্তানের প্রতিবাদ

আগা সালমান-শাহিন আফ্রিদিরা হয়তো সেটা ভেবেই মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন...

বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে তিস্তার পানি

টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি আব...

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের একটি স্...

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনা

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা আরও সুশৃঙ্খল করতে সরকারি হাসপাতালগুলোকে নতুন নির্দেশনা...

ক্রীড়া পরিদপ্তরে দুদকের অভিযান

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি প...

এক লাফে ট্যারিফ বাড়ল গড়ে ৪০ শতাংশ

বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তি উপেক্ষা করেই নতুন ট্যারিফের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়...

বগুড়ায় মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক নারী ও তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা