আগামী ১ জুলাই থেকে ২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস ও মিনিবাস এবং ২৫ বছরের বেশি পুরোনো ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান আর রাস্তায় চালানো যাবে না। সড়কে চলাচলকারী বাস-ট্রাকের জীবনকাল নির্ধারণ করে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তবে এমন নির্দেশনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার এ ধরনের প্রজ্ঞাপন ও আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু পরিবহন মালিকদের চাপে তা কার্যকর করা যায়নি।
বায়ুদূষণ কমাতে গত বছরের ২৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ছয় মাস পর মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের নিবন্ধন বাতিল করে ধ্বংস করতে হবে। সেই সময়সীমা গত এপ্রিলে শেষ হয়। এরও প্রায় দুই মাস পর গতকাল বিআরটিএ প্রজ্ঞাপন দিল। এর আগ গত বছরের ৬ অক্টোবর সড়ক থেকে পুরোনো গাড়ি প্রত্যাহার করতে বিআরটিএকে চিঠি দিয়েছিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও বারবার ফিটনেসবিহীন গাড়ি উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে আদালতকেও আদেশ দিতে হয়েছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি।
২০১০ সালে রাজধানীতে ২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস এবং ২৫ বছরের বেশি পুরোনো পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পর আরও কয়েক দফা একই ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে একবার নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়। ২০২৩ সালের মে মাসে পুরোনো যান সরিয়ে দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে বিআরটিএ। তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরিবহন মালিকদের চাপে সেই বছরের আগস্টে প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করা হয়। একই বছরের জুনে পুরোনো গাড়ি দুর্ঘটনা ও পরিবেশ দূষণের কারণ উল্লেখ করে এগুলো ধ্বংস করতে (স্ক্র্যাপ) খসড়া নীতিমালা করে সড়ক পরিবহন বিভাগ।
গত বছরের এপ্রিলে পরিবহন মালিক সমিতিকে পুরোনো বাস প্রত্যাহারের বিষয়ে পরিকল্পনা নিতে চিঠি দিয়েছিল বিআরটিএ। তাও সফল হয়নি।
বিআরটিএ বলছে, সারাদেশে নিবন্ধিত বাস-মিনিবাসের সংখ্যা ৭৬ হাজার ২৮১। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৭৬১টি বাস-মিনিবাসের বয়স ২০ বছরের বেশি। নিবন্ধিত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ট্যাঙ্কলরির সংখ্যা ৩ লাখ ৭২ হাজার ১৭৪। এর মধ্যে ২৫ বছরের চেয়ে বেশি পুরোনো এ ধরনের যানবাহনের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৪৮১।
আমারবাঙলা/জিজি