ভিএআর মনিটর দেখে কলম্বিয়ান রেফারি উইলমার রোলদান বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে পেনাল্টির ইঙ্গিত করলেন। ধারাভাষ্যকার তখনই বললেন, পেনাল্টিটি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। শেষ বাঁশি বাজার পর ঠিক এমন প্রশ্নই তুলেছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আজ শেষ রাউন্ডে গুয়াইয়াকিলে স্বাগতিক ইকুয়েডরের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে আগেই ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইকুয়েডরকে গোলটি এনে দেন ফরোয়ার্ড এনের ভ্যালেন্সিয়া।
প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত থেকে ভেসে আসা বল ধরতে আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকে পড়েন ইকুয়েডরের রাইটব্যাক অ্যাঞ্জেলো প্রিসিয়াদো। তাঁকে থামাতে আড়াআড়িভাবে ছুটে যান আর্জেন্টিনার লেফটব্যাক নিকোলাস তালিয়াফিকো। বল বাতাসে থাকতে দুজনেই লাফ দেন। দুজনে শূন্যে ভাসার সময় তালিয়াফিকোর ডান হাতের কনুই লাগে প্রিসিয়াদোর মুখে। মাটিতে পড়ে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন প্রিসিয়াদো। ভিডিও রিপ্লে দেখে মনে হয়নি, তালিয়াফিকো ইচ্ছা করে কনুই মেরেছেন প্রিসিয়াদোকে। ইকুয়েডরের মেডিকেল দল ছুটে যায় প্রিসিয়াদোর কাছে। রেফারি রোলদান তখনো ফাউলের বাঁশি বাজাননি।
প্রিসিয়াদো প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার সময় ভিএআর মনিটরে মুহূর্তটি পর্যালোচনার ডাকা হয় রেফারি রোলদানকে। বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে তালিয়াফিকো ও প্রিসিয়াদোর সংঘর্ষের মুহূর্ত দেখে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
ম্যাচ শেষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে রেফারির ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। মিক্সড জোনে বলেন, ‘পেনাল্টিটা অন্যায্য। লাল কার্ডটা (ওতামেন্দির লাল কার্ড) হতে পারে, কিন্তু পেনাল্টি নিয়ে বিতর্কের জায়গা আছে, যেটা তালিয়াফিকোর বিপক্ষে যায়। এটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ঘরের বাইরে রেফারিরা আমাদের জন্য সবকিছু কঠিন করে তোলেন।’
তালিয়াফিকোর যুক্তি, ঘটনাটা মাঠের অন্য কোনো জায়গায় ঘটলে ভিএআর তা পর্যালোচনা করত না, এমনকি ফাউলের বাঁশিও বাজানো হতো না। তাঁর ভাষায়, ‘(লাফ দেওয়ার সময়) নিজের সহজাত ভঙ্গিতে আমি হাতটা বাড়িয়েছি। আমি হেড করলেও সে (বলের) পজিশন জিতেছে। প্রিসিয়াদো যে উগ্রতা নিয়ে দৌড়ে আসছিল, আমি চমকে গিয়েছি। মাঠের অন্য জায়গায় এটা খুবই স্বাভাবিক লড়াই, যেটায় শাস্তি হয় না কিংবা কী ঘটেছিল, তা দেখা হয় না। কিন্তু বক্সের ভেতরে বলেই তিনি (রেফারি) রিভিউ করেন। এটা অদ্ভুত যে তিনি আমাকে হলুদ কার্ডও দেখাননি।’
আমারবাঙলা/জিজি