বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘দুষ্কৃতিকারীরা সারা বাংলাদেশে রক্তপাত করছে, কিন্তু ধরা পড়ছে না কেন? তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কেন? আগে তো এমনটি ছিল না। আগে অপরাধ করার পর কয়েক দিনের মধ্যে তাদের খুঁজে পাওয়া যেত, ধরা যেত। এক দিন, দুই দিন অথবা কিছু দিনের মধ্যেই অপরাধীরা ধরা পড়ত।’
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতার গোপটা এলাকায় জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলছি, আপনারা তৎপর হোন। না হলে আপনাদের প্রতি জনগণের সন্দেহ জাগবে। আপনাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে অপরাধী ও খুনিরা পার পেয়ে গেলে এ দেশে অন্ধকার নেমে আসবে। অসহায়দের পাশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হিমালয় পর্বতের মতো প্রাচীর হয়ে থাকবে। কোনো দুষ্কৃতিকারী ও অপরাধী যেন গ্রামে গ্রামে, পরিবারে হামলা, গুলি ও আগুন দিতে না পারে—সে বিষয় আমাদের দেখতে হবে।
এর আগে অগ্নিদগ্ধ বিএনপি নেতা বেলালকে দেখতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে যান রিজভী। তিনি পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনে নগদ ৪ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। পরে নিহত শিশু আয়েশার কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রিজভী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান এবং বিএনপি নেতা হ্যাপি চৌধুরীসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরে তালা লাগিয়ে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বেলালের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আয়েশা আক্তার অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। বেলাল ও তার আরও দুই মেয়ে স্মৃতি ও বিথী অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এখনো কাতরাচ্ছে। এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। ঘটনার রহস্যও উদ্ঘাটন হয়নি।
আমারবাঙলা/এসএবি