বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নির্ধারিত ফ্লাইটে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ওই ফ্লাইটের দায়িত্বে থাকা দুই কেবিন ক্রুকে শেষ মুহূর্তে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুজন হলেন—জুনিয়র পার্সার মো. সওগাতুল আলম সওগাত ও ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস জিনিয়া ইসলাম। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের দাবি, গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রতিবেদনে ওই দুই কেবিন ক্রুর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্য উঠে আসায় কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তাদের ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নতুন করে নজরে আসে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের ফ্লাইটে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের অভিযোগও রয়েছে।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। ওই ফ্লাইটে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপির উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন নেতারও থাকার কথা রয়েছে।
বিমান সূত্র আরও জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তা ঘিরে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেবিন ক্রুদের পরিবর্তে জুনিয়র পার্সার মোস্তফা ও ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আয়াতকে ওই ফ্লাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে একই ধরনের ঘটনার নজির রয়েছে। চলতি বছরের ২ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি ফ্লাইটেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুই কেবিন ক্রুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আমারবাঙলা/এসএবি