জেলা প্রতিনিধি: আসন্ন ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া বলেছেন, “নৌকার পক্ষে গণজোয়ার উঠেছে। জনগণ নৌকার কথা বলছে। উঠুক, নৌকা তো আমার দলেরও প্রতীক, আমি তো নৌকার বাইরের কেউ নই। তবুও ভোটের মাঠে স্বতন্ত্র হিসেবে (কেটলী প্রতীক) আছি। জয়-পরাজয় থাকবেই, আমার চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়নের আতলাপুর বাজার, টাওরা, গুতলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় গণসংযোগের অংশ হিসেবে নির্বাচনী পথসভায় অংশ নিয়ে শাহজাহান ভুঁইয়া এসব কথা বলেন। তিনি ভোট সুষ্ঠু হলে জয়ী হওয়ার আশাও প্রকাশ করেন।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিষয়ে বলেন, ‘তিনি আমার রাজনৈতিক সহকর্মী। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আওয়ামী লীগ মানেই উন্নয়ন, নৌকা মানেই উন্নয়ন-সেটিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন।’
রূপগঞ্জের স্বতন্ত্র এই প্রার্থী বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড সুযোগ দেওয়ায় স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে আছি। আশা করি, ভোটাররা আমাকে নিরাশ করবেন না।’
রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীরের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগও করেন হয়েছেন শাহজাহান ভূঁইয়া। এদিকে ভোটের মাঠের তথ্য বলছে, তৃণমূল বিএনপি’র তৈমুর আলম খন্দকার সবসময় শহরকেন্দ্রিক রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকায় ও বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়ায় দলটির নেতাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ কমে গেছে। এমনকি নির্বাচনী প্রচারেও তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও তৈমুরের নতুন দল তৃণমূল বিএনপিরও সাংগঠনিক ভিত্তি না থাকায় প্রচারণার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে এই নেতা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কোনো নির্দেশনা না দেয়ায় তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা ‘কেটলি’প্রতীকের প্রচারে বেশ সরব রয়েছেন।
তবে নৌকা প্রার্থীর সমর্থনে থাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা রূপগঞ্জে সাংগঠনিকভাবে গোলাম দস্তগীর গাজীর সক্ষমতার কথা উল্লেখ করেছেন। জানা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ ও দুটি পৌরসভার মধ্যে ছয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এক পৌরসভার মেয়র তার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। এমনকি ইতোমধ্যে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও রূপগঞ্জে নৌকার পক্ষে প্রচারে অংশ নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, “এবারের নির্বাচনে দল থেকে সরাসরি নিষেধ না থাকায় কেউ কেউ নৌকার বিপরীতে গিয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই জনমত বেশি। আমরা শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।”
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            