নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে গণমুক্তি জোট আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনে যেসব বাধা রয়েছে তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতেও সংকল্পবদ্ধ বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণমুক্তি জোট আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আয়োজিত সভায় গণমুক্তি জোটের প্রধান সমন্বয়ক আবু লায়েস মুন্নার সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ।
এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন জোটের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, প্রধান মুখপাত্র সাবেক সচিব কাশেম মাসুদ এবং প্রফেসর এ.আর খান-সহ জোটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আয়োজিত সভায় বলা হয়, দেশ আজ এক সন্ধিক্ষণের মধ্য দিয়ে চলছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে এবং বিভিন্ন ফর্মুলা তুলে ধরছে।
গণমুক্তি জোটও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির সাথে সম্পূর্ন একমত। সেই সাথে সুষ্ঠু নির্বাচনে যেসব বাধা রয়েছে তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতেও সংকল্পবদ্ধ। গণমুক্তি জোট কোনো অনির্বাচিত সরকার সমর্থন করে না।
গণমুক্তি জোট নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চায় আগামী দিনের রাজনীতির সঠিক একটি প্লাটফর্ম।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণে পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যাবে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই বলে আসছে যে, বিগত ৫২ বছরে কোন শাসক দলই স্বাধীনতার অঙ্গীকার- সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা বাস্তবায়ন করেনি।
উল্টো দূর্নীতি-বৈষম্য-মতপ্রকাশে বাধাঁ, টাকা পাচার, ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাস কায়েম করেছে। সে কারণে বড় দুই দলকে ফ্যাসিস্ট আখ্যায়িত করে বর্জন করতে এবং বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে ঐসব দল নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না হয়ে কথিত ফ্যাসিস্ট দল দুটিকেই ক্ষমতায় রাখতে বা ক্ষমতাসীন করতে শান্তি সমাবেশ বা যুগপৎ কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে।
আরও দেখা যায়, নির্বাচিত সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছে, আবার ২০১৮ সালে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।
এসব কারণে মানুষ শুধুই বিভ্রান্ত হয়, আন্দোলনের সুফল পাওয়া যায় না। নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় একদিকে যেমন সরকার ফাঁকা মাঠে গোল দিয়েছে, অপরদিকে আরও বেশি কর্তৃত্ব পরায়ন হয়েছে। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় গণমুক্তি জোট দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছে যে, বিগত ৫২ বছরের ক্ষমতাসীনদের বাইরে রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সচেতন ব্যক্তি সকলকে নিয়ে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে। সকল অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।

গণমুক্তি জোট সভা থেকে সরকারের প্রতি ৪ টি দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলো হলো-
১) তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে।
২) মন্ত্রিসভা ছোট করতে হবে এবং মন্ত্রীসভায় বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে।
৩) স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে।
৪) নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে আইন সংশোধন করতে হবে যাতে সরকার নির্বাচন কমিশনের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য থাকে।
গণমুক্তি জোটে যোগ দিয়ে বিকল্প রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে শক্তিশালী করা এবং গণমানুষের সার্বিক মুক্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান জোটের সভাপতি।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            