নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানির জন্য কিছু করছে না। সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানি করার জন্য কিছু করছে না। সরকার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছে না। যে মামলা হয়েছে সেটা শ্রমিকরা করেছিল। তারপর শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত যে অধিদপ্তর আছে, সে ডিপার্টমেন্ট তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রমাণ থাকার পরও বিদেশে ছড়ানো হচ্ছে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তা সবই মিথ্যা এবং আমরা তাকে হয়রানি করতে এসব করছি।
তিনি বলেন, যে মামলা হয়েছে, সেটি শ্রমিকরা করেছিল, শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত যে অধিদপ্তর আছে সেই অধিদপ্তর তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, অপরাধ করলে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
আনিসুল হক বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে বিদেশে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু তারা কারও অঙ্গুলিহেলনে চলেন না। দেশে আইন আছে। তারা সেই আইনে দেশ চালাবেন।
তিনি বলেন, তিনি বিচারাধীন মামলা নিয়ে কথা বলেন না। কিন্তু যেখানে সরকার, বিচার বিভাগ ও দেশের ব্যাপার জড়িত, যখন দেশের মর্যাদা হেয় করার প্রচেষ্টা চলে, তখন তিনি নিশ্চুপ থাকতে পারেন না। সে জন্যই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের যে মামলা হয়েছিল, তার কার্যাবলিসহ এর পরিপ্রেক্ষিত ব্যাখ্যা করতে তিনি আজকের সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আদালত, বিচার বিভাগসহ বাংলাদেশের মর্যাদা, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ধারাবাহিকতাকে ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মামলাকে কেন্দ্র করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যেভাবে হচ্ছে, তা মোকাবেলা করার জন্যই আজকে তিনি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি সত্য তুলে ধরবেন। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারও অঙ্গুলিহেলনে চলি না। দেশে আইন আছে, আমরা সেই আইনে দেশ চালাব।’
তিনি বলেন, দেশ আমাদের সবার। দেশের সব অঙ্গ-সেটি নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা, বিচার বিভাগ এ দেশের মানুষের। এ দেশের মানুষের দায়িত্ব এগুলোকে রক্ষা করা। এগুলোর কাজ সঠিকভাবে চলতে দেয়া। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে সবাইকে আইনের মাধ্যমে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।’
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার রায় নিয়ে সঠিক ও সত্য তথ্য তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদ- দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওইদিনই তাকে আপিল শর্তে অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দেয় আদালত। ইতোমধ্যে মামলায় আপিল দায়ের ও জামিন নিয়েছেন তিনি।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            