নিম্নচাপ ও সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাব কেটে গেলেও মৌসুমি বায়ুর বিস্তারের কারণে সামনের কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ সময় দেশের কিছু স্থানে ‘ভারি থেকে অতি ভারি’ বৃষ্টিপাতও হতে পারে। রবিবার (১ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর বিস্তার লাভ করেছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সক্রীয় ও দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এর প্রভাবে রবিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সাথে ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সাথে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এদিন।
বুধবার থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ সময়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান শনিবার জারি করা এক পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, বলাই, সোমেশ্বরী ও মনু নদীর পানি সমতল আগামী ২ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই সময়ে নদীগুলোর পানি সমতল বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও মৌলভীবাজার জেলায় নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদ-নদীর পানি সমতল আগামী ৫ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে; পরবর্তী ১ দিন হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী ৩ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ইত্যাদি নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী ২ দিন হ্রাস পেতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। নদীগুলোর পানি সমতল আগামী ৫ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আমারবাঙলা/ইউকে