ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার নির্বাচনে কেরালার ওয়েনাড আসন থেকে জয়ী হয়েছেন গান্ধী পরিবারের সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। গান্ধী পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তিনি সংবিধান হাতে শপথ নিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
ওয়েনাডের পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসনেও জেতার পর এই আসন ছেড়ে দেন প্রিয়াঙ্কার ভাই রাহুল গান্ধী। রাহুলের ছেড়ে দেওয়া আসনের উপনির্বাচনে জিতেছেন প্রিয়াঙ্কা।
মা সোনিয়া গান্ধী ও ভাই রাহুল গান্ধীর পর তৃতীয় সদস্য হিসেবে সংসদ সদস্য হলেন প্রিয়াঙ্কা।
শপথ অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ছিলেন রাহুল এবং মা সোনিয়া। অনুষ্ঠানে ডান হাতে লাল-কালো মলাটের সংবিধান তুলে ধরে শপথগ্রহণ করেন তিনি। তারপর লোকসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কাকে।
বৃহস্পতিবার সকালেই কংগ্রেস সংসদ সদস্যদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি লোকসভায় আসছেন এই খবর পেয়ে সংসদ চত্বরে হাজির হন অন্য কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা। এ সময় ‘প্রিয়াঙ্কা স্বাগতম’ স্লোগান ওঠে।
গাড়ি থেকে নেমে প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি ভীষণ খুশি। তারপরেই ভাই রাহুল এবং মা সোনিয়ার সঙ্গে সংসদের ভেতরে প্রবেশ করেন তিনি।
এক্সে এক বড় পোস্ট করে ভোটারদের ধন্যবাদ জানান প্রিয়াঙ্কা।
তিনি তার দলের সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান। আলাদা করে মা সোনিয়া, ভাই রাহুল, স্বামী রবার্ট ভদ্র ও দুই সন্তানের কথা উল্লেখ করেন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নির্বাচনী প্রচারণা রাহুল ও সোনিয়ার সরব উপস্থিতি ছিল।
প্রসঙ্গত, সংবিধান হাতে শপথ নিয়ে ভাই রাহুলের পদাঙ্কই অনুসরণ করলেন প্রিয়াঙ্কা। পাঁচ মাস আগে লাল-কালো মলাটের সংবিধান হাতেই শপথ নিয়েছিলেন রাহুল।
২০০৪ সালের লোকসভা ভোট থেকে নিয়মিত সোনিয়া-রাহুলের প্রচারে অংশ নিলেও প্রিয়াঙ্কা আনুষ্ঠানিকভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।
তার মা সাবেক কংগ্রেসপ্রধান সোনিয়া গান্ধী উচ্চকক্ষ বিধানসভার সদস্য। গত শনিবার ওয়েনাড আসনের ভোট গণনা শেষ হয়। প্রিয়াঙ্কা ছয় লাখ ২২ হাজার ভোট পেয়ে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট পার্টির সাথিয়ান মোকেরির চেয়ে চার লাখেরও বেশি ভোট পান প্রিয়াঙ্কা। তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন বিজেপির প্রার্থী।
এই বিজয় ও শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ভারতের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন প্রিয়াঙ্কা। এই মুহূর্তের জন্য তার দল ও সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ের প্রতিটি নির্বাচনেই প্রিয়াঙ্কার অংশ নেওয়ার গুজব রটেছিল, কিন্তু তিনি বরাবরই এ বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করে এসেছেন।
কেরালার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট করতে শপথ গ্রহণের সময় তিনি প্রথাগত কাসাভু শাড়ী পরে আসেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            