আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আরও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২২ অক্টোবর) গভীর রাতে এ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা ইউনিটের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ৩০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি এ হামলায় অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার ৮ টি শরণার্থী শিবিরের মধ্যে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরটি বৃহত্তম। রোববার গভীর রাতে এখানকারই একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গাজার হাসপাতালগুলো থেকে জানানো হয়, চিকিৎসকরা আহতদের চিকিৎসা করতে কার্যত লড়াই করছে। আল জাজিরাকে উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক জানান, আমরা ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকটে ভুগছি।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের এ নির্বিচার হামলায় এ পর্যন্ত ৪৬৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে কেবল শিশুর সংখ্যাই ১৭০০ জনের বেশি। এছঅড়া আহত হয়েছেন ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েল দাবি, তারা হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তবে তাদের এসব হামলায় হামাসের যোদ্ধাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গাজার বেসামরিক মানুষ।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ঘন বসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ৩ টি স্কুল রয়েছে, যা ‘ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নেয়ার ইস্ট বা ইউএনডব্লিউআরএ’র মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।
এগুলোর মধ্যে কয়েকটি স্কুল শত শত বাস্তুচ্যুত পরিবারের আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। এর আগেও এ শিবিরে বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, গাজার ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মধ্যে একটি বলে বিবেচিত এ ক্যাম্পের একটি বাজারে গত ৯ অক্টোবর ইসরায়েলি বিমান হামলায় কত সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
ঐ ক্যাম্পের একজন বাসিন্দা বলেন, গত ২ সপ্তাহের ঘটনায় সব কিছু বদলে গেছে।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            