সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন প্রত্যাহার করা হয় বলে জানান তাঁর আইনজীবী মহসিন রেজা।
এদিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ছাড়া গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে আরও ছয়জন জামিন আবেদন করলেও তা নাকচ করেছেন আদালত। তাঁরা হলেন গোলাম মোস্তফা, জাকির হোসেন, তৌছিফুল বারী খান, আমির হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও আবদুল্লাহীল কাইয়ুম।
গত ২৮ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্নাসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন হাফিজুর রহমান। তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশের একটি দল আসে। লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, মনজুরুল আলমসহ ১৬ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
পরদিন এই ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সেদিন লতিফ সিদ্দিকী ছাড়া অন্যরা জামিনের আবেদন করলে আদালত নাকচ করেছিলেন।
২৯ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকীকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তখন তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে রাজি হননি। আদালতের প্রতি তাঁর আস্থা নেই বলে তখন তিনি উপস্থিত আইনজীবীদের বলেছিলেন।
আমারবাঙলা/জিজি