যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউদ্দিন পলাশকে (৪৫) অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার আয়কর অফিসের পেছনে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে জানান অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমাদুল করিম।
নিহত পলাশ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আটক রইচ উদ্দিন শিকদারকে (৩৫) খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রইচ উদ্দিন একই এলাকার সিদ্দিক সরদারের ছেলে। তিনি নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি নওয়াপাড়া পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
পলাশের ছোট ভাই লেলিন বলেন, শুক্রবার দুপুরের পর বেঙ্গল টেক্সটাইল মিল এলাকা থেকে ভাইকে অপহরণ করা হয়। এরপর ভাইয়ের মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রীর কাছে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। অন্যথায় তাকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। পরে অপরিচিত দুই যুবক পরিবার থেকে টাকা নিয়ে যান। এরপরও পলাশ ফিরে না আসায় বিষয়টি পুলিশে জানানো হয়। পরে পুলিশ মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাক করে নওয়াপাড়া উপকর কমিশনারের কার্যালয় এলাকায় যায়।
তিনি বলেন, সেখানে রইস উদ্দিনকে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তাকে আটক করে গণপিটুনি দেন জনতা। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কর অফিসের পেছনে একটি ঘরে পলাশকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি এমাদুল করিম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
দুই যুগ আগে পলাশের বাবা শ্রমিক নেতা ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইব্রাহিম হোসেন সরদার গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শোভন বিশ্বাস বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগে জিয়াউদ্দিন পলাশের মৃত্যু হয়েছে। তার দুই পায়ের হাঁটুর নিচে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া দুই হাতের কবজিতে অস্ত্রের ও পিঠে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            