মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ কাশেমনগরের রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি এখন থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কড়া নজরদারিতে রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আনোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে সরকারি খাসজমিতে কোটি টাকার বাংলোবাড়ি নির্মাণ করতে সহায়তা করেছেন আমেরিকা প্রবাসী ২৬ বছর বয়সী সুনামগঞ্জের যুবক হাসান আহমদ। তারা জানান, বাংলোবাড়িতে সন্দেহজনক মানুষের আনাগোনা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও অসামাজিক আড্ডার ঘটনা ঘটছে এমন অভিযোগ বহুদিন ধরে স্থানীয় যুবসমাজ তুলে আসছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বড়লেখা থানার ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত) ও পুলিশ সদস্যরা অভিযোগ তদন্তে রহস্যঘেরা ওই বাংলোবাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন অপরিচিত মানুষের চলাফেরা ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবিতে বাড়িটি ঘিরে বিক্ষোভ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি খাসজমিতে বাংলোবাড়ি নির্মাণ, টিলা কর্তন ও গাছপালা অপসারণের কোনো অনুমতি বা লিজের বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ। এ কারণে বাংলোবাড়িটি এবং হাসান আহমদ গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। তার কথিত বন্ধু আনোয়ারকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
বড়লেখা থানার এসআই সুব্রত কুমার দাস বলেন,“এই রহস্যময় বাড়ি, আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ এবং তার কথিত সহযোগী আনোয়ারকে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নানা তথ্য রয়েছে। এসব তথ্য যাচাইয়ের অংশ হিসেবে আমরা বুধবার সন্ধ্যায় পরিদর্শনে যাই।”
এ বিষয়ে আমেরিকা প্রবাসী হাসান আহমদ জানান,“আনোয়ারকে বিশ্বাস করে আমি জমি কেনা ও বাংলোবাড়ি নির্মাণের জন্য চার কোটি টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু জুলাই মাসে দেশে ফিরে এসে দেখি টাকা খরচের সঙ্গে নির্মাণকাজের কোনো মিল নেই। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে তিনি আমার ১৩ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যান এ অভিযোগে আমি থানায় জিডি করি। এরপর থেকেই তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন।”
আমারবাঙলা/এসএ