চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কয়েকটি ড্রেজার ও বাল্কহেডে আগুন দিয়েছেন।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিরা ফেরিঘাটের কাছাকাছি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র এসব যন্ত্রের মাধ্যমে সাগর থেকে বালু তুলে বাইরে বিক্রি করে আসছিল বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয়রা জানান, ঠিক কোন চক্র এই অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা তারা নিশ্চিত নন।
নৌ–পুলিশও বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেনি। এর আগে বুধবার ভাটিয়ারী এলাকার একটি শিপইয়ার্ডেও একই ধরনের অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ধাওয়া দেয়।
এলাকাবাসী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অবৈধ বালু তোলার কারণে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
জেলে সন্তোষ কুমার জানান, বালুর স্তর পরিবর্তনের ফলে সাগরের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং নৌকা রাখার জায়গাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজী কামাল উদ্দিন ও ফরিদুল আলমের অভিযোগ, সরকার থেকে শুধুমাত্র স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটার জন্য লিজ নেওয়া শিপইয়ার্ডগুলোই বালু উত্তোলনে জড়িত। তাদের মতে, এভাবে বালু তোলা চলতে থাকলে উপকূলে ভাঙন দেখা দেবে, কৃষিজমি অকার্যকর হয়ে পড়বে এবং সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কুমিরা নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ওয়ালি উদ্দিন আকবর জানান, ড্রেজার ও বাল্কহেডে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আমার বাঙলা/আবীর