আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিবিয়া উপকূল থেকে ১১ অভিবাসীর মরদেহ এবং ১৬০ জনেরও বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে দাতব্য গোষ্ঠী ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)।
শনিবার (৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের উদ্ধারকারী জাহাজ জিও বেরেন্টস শুক্রবার (৭ জুন) দুটি অভিযানে ১৪৬ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। পরে আরেকটি পৃথক নৌকায় আরও ২০ জনকে পায় তারা। এছাড়া, সি ওয়াচ গ্রুপের সহায়তায় ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে তারা।
এ ঘটনায় দাতব্য গোষ্ঠীটি উত্তর আফ্রিকার দেশ এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে এমএসএফ বলেছে, ‘এই ট্র্যাজেডির সুনির্দিষ্ট কারণ আমরা জানি না। তবে আমরা এটি জানি, মানুষ নিরাপত্তার জন্য মরিয়া হয়ে মারা যাচ্ছে। এর অবসান হওয়া উচিত।’
সি ওয়াচ গ্রুপ, যাদের বিমান ভূমধ্যসাগরে মরদেহগুলো দেখতে পেয়েছিল, তারা বলেছে, ‘মরদেহগুলো অজানা নৌকাডুবির শিকার হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।’ সংস্থাটির দাবি, মরদেহগুলো উদ্ধারের জন্য তারা লিবিয়ার কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু কোনো সাড়া পায়নি।
সংস্থাটি একটি বিবৃতি বলেছে, ‘ভূমধ্যসাগরে এটা ঘটে থাকে, এমনকি কেউ না দেখলেও।’
বিবৃতিতে সি ওয়াচ আরও বলেছে, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়িত তথাকথিত লিবিয়ান কোস্টগার্ড মরদেহগুলো উদ্ধারের জন্য সাহায্যের আহ্বানে সাড়া দেয়নি।’
অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সমুদ্রপথ ভূমধ্যসাগর। আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য হাজার হাজার অভিবাসী প্রত্যাশীরা লিবিয়া উপকূল ব্যবহার করে। ২০১৪ সাল থেকে মধ্য ভূমধ্যসাগরে ২০ হাজারটিরও বেশি মৃত্যু এবং নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ।
ইতালি তিউনিসিয়া এবং লিবিয়াকে বিপজ্জনক সমুদ্রপথে যাওয়া বন্ধ করতে আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটি উদ্ধারকারী জাহাজের কার্যক্রমকেও আটকে দিয়েছে। ইতালির দাবি, উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর কার্যক্রম অবৈধ পথে লোকেদের ইউরোপে যেতে উৎসাহিত করে। দাতব্য সংস্থাগুলো অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            