গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্সমদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকারকে ‘অবৈধ’ ও ‘তালেবান’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ভারতের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ‘বৈধ’ প্রধানমন্ত্রী’ শেখ হাসিনা। তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই ঢাকায় ল্যান্ড করবেন এবং বর্তমান সরকার তাকে স্যালুট জানিয়ে গ্রহণ করবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গে উত্তর-২৪ পরগণা জেলার গোয়ালডাঙ্গার বসিরহাটে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজেপি ও বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন প্রতিবেশী দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল নই। বাংলাদেশই আমাদের ওপর নির্ভরশীল। আমরা যদি ৯৭টি পণ্য পাঠানো বন্ধ করি, তাহলে আপনারা চাল ও কাপড় পাবেন না। আমরা যদি ঝাড়খণ্ড থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পাঠানো বন্ধ করি তাহলে ৮০ শতাংশ গ্রামে আলো জ্বলবে না।’
এ সময় শুভেন্দু আবারো বাংলাদেশে রাফাল যুদ্ধবিমান পাঠানোর হুমকি দেন। তিনি বলেন, ‘হাসিমারায় ৪০টি রাফাল বিমান রয়েছে। মাত্র দুটি বিমান পাঠালেই যথেষ্ট হবে।’
এর আগেও তিনি গত রবিবার বাংলাদেশে রাফাল যুদ্ধবিমান পাঠানোর হুমকি দিয়েছিলেন। সেবার অবশ্য তিনি একটি রাফাল পাঠানোর কথা বলেছিলেন।
বিজেপির এই নেতা বলেন, ‘দয়া করে (হিন্দুদের ওপর) অত্যাচার বন্ধ করুন, আমাদের মন্দিরগুলোর ওপর আক্রমণ বন্ধ করুন। ১৬ তারিখে আমরা একটি বড় সভা করব। ইউনূসের সরকার কোনো বৈধ সরকার নয়, তারা চরমপন্থী। তারা উগ্রবাদী, তারা মানবতার বিরুদ্ধে। তারা তালেবানের মতো। ইউনূসের সরকার শেখ হাসিনার বৈধ সরকারকে সরিয়ে দিয়েছে।’
শুভেন্দু আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে যাবেন। শেখ হাসিনা বৈধ প্রধানমন্ত্রী। তারা (ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার) অবৈধ। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঢাকার বিমানবন্দরে নামবেন। তাদের তাকে স্যালুট দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে হবে।’
এর আগে, গত রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ভারত একটি রাফাল যুদ্ধবিমান পাঠালেই বাংলাদেশ কেঁপে উঠবে।
শুভেন্দু বলেন, ‘ভারত যদি একটি রাফাল যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলেই (বাংলাদেশ) তারা কেঁপে উঠবে। বাংলাদেশের ভারতের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তারা যেন ভালোভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে ভারতের শক্তি সম্পর্কে জেনে নেয়।’
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক এই সভাপতি আরো বলেন, ‘তাদের মনে রাখা উচিত, আলু-পেঁয়াজের মতো সামগ্রীর জন্যও বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হয়। যে দেশ একটি প্যাকেট আয়োডিনযুক্ত লবণও উৎপাদন করতে পারে না, তাদের নিজেদের সীমাবদ্ধতা জানা উচিত।’
আমারবাঙলা/এমআরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            