একই সঙ্গে তিন সংস্করণেই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা চাপে ছিলেন তিনি; সেটি প্রকাশও করেছেন নাজমুল। নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়ার কথা জানান এ ব্যাটার। পরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের অধিনায়ক হিসেবে ওপেনার ও উইকেটরক্ষক লিটন দাসের নাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্যও নতুন অধিনায়ক বেছে নেওয়া হলো। ওয়ানডে সংস্করণে টাইগারদের নতুন দলপতি এখন মেহেদি হাসান মিরাজ। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মিরাজের কাঁধে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার ঘোষণা আসে বোর্ডের তরফ থেকে। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিন সংস্করণে ভিন্ন তিন অধিনায়ক বেছে নিল বাংলাদেশ।
মিরাজ অধিনায়কত্ব পেয়েছেন নাতিদীর্ঘ সময়ের জন্য। এক বছরের জন্য তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ওয়ানডে দলের দায়িত্ব। ২৭ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারের জন্য এটা বিরাট সুযোগ বটে। এর আগে আসছে মৌসুমের জন্য টেস্ট ক্রিকেট দলের সহঅধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ওয়ানডেতে তার সহকারী কে হচ্ছেন, সেটি এখনও জানায়নি বিসিবি।
নাজমুল টেস্ট ক্রিকেট দলের এক বছরের জন্য অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন। লিটন দাস আগামী বছর টি-টোয়েন্টিতে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পেয়েছেন। আসন্ন শ্রীলংকার সফর থেকেই শুরু হয়ে যাবে বাংলাদেশের তিন সংস্করণের তিন অধিনায়কের নতুন এক যাত্রা। লংকান সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। তিন সিরিজে দেখা যাবে তিন অধিনায়ককে।
এর আগে ২০২২ সালে বাংলাদেশ দলের তিন সংস্করণের তিনজন অধিনায়ক ছিলেন। ওই সময় টেস্ট ক্রিকেটে মুমিনুল হক সৌরভ, ওয়ানডে সংস্করণে তামিম ইকবাল এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাছে।
মিরাজের জন্য নেতৃত্ব অবশ্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই এ অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। এ ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার। জাতীয় দলকেও এর আগে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তবে সেটি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে। গত বছর নাজমুলের অনুপস্থিতিতে দুটি টেস্ট ও চারটি ওয়ানডেতে দলপতির দায়িত্ব পালন করেন মিরাজ। ওয়ানডেতে সবকটি ম্যাচ হেরেছে দল। তবে টেস্ট ম্যাচে একটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে যে কয়জনের অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি তাদেরই একজন মিরাজ। প্রায় আট বছর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তার। এখন পর্যন্ত ১০৫টি ম্যাচ খেলেছেন টাইগারদের হয়ে। দুই সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে তিনি রান করেছেন ১৬১৭। নিয়েছেন ১১০ উইকেট। এ সংস্করণে অন্তত ১০০ উইকেট ও হাজার রান করা চতুর্থ বাংলাদেশি মিরাজ।
গত কয়েক মাসে পারফরম্যান্সে উন্নতি হয়েছে মিরাজের। আইসিসি ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান চার নম্বরে। কার্যত তার ওপরে আর কোনো বাংলাদেশি নেই।
আমারবাঙলাইউকে
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            