সংগৃহীত
বাণিজ্য
বিঘাপ্রতি উৎপাদন ১০০ কেজি

বাগদা চিংড়ি চাষে সুফল মিলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় দেশের মোট রপ্তানিজাত বাগদা চিংড়ির সিংহভাগ উৎপাদন করা হয়। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তাপদাহ, ভাইরাস ও নদীর পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে চিংড়ি শিল্প সংকটের মধ্যে রয়েছে।

এছাড়া করোনা পরবর্তি বিশ্ব বাজারে চিংড়ির দাম কমায় সাতক্ষীরার অনেকেই চিংড়ি চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে চলতি ২০২৩ সালে চিংড়ির উৎপাদন বেড়েছে। পাশাপাশি চাষিদের হতাশা দূর করতে জেলা মৎস্য বিভাগ বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

এরই একটি ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’। এই প্রকল্পের আওতায় কালীগঞ্জ উপজেলার শিবপুর গ্রামে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে আশানুরূপ সুফল পাওয়া গেছে।

চিংড়ি চাষিরা জানিয়েছেন, মাত্র ৯৩ দিনে বিঘাপ্রতি ১০০ কেজির অধিক বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। যার গ্রেড কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২২টি হয়েছে।

স্থানীয় মৎস চাষি মো. মোক্তাদির হোসেন জানান, ‘আমাদের এলাকায় এই প্রথম ১৩০৫ শতক জমিতে মোট ২৩টি ঘেরে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করা হয়েছে। আমিও ৪ বিঘার ঘেরে এ পদ্ধতিতে চাষ করে লাভবান হয়েছি।

এ চাষে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। ৯৩ দিন পর ঘের থেকে প্রায় ৩০০ কেজির মতো মাছ ধরে বিক্রি করেছি। ঘেরে এখনও প্রচুর মাছ আছে। প্রতি বিঘা থেকে ৭০-৯০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তীব্র তাপদাহ, নানা ধরনের ভাইরাস ও পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে আগের মতো মাছ উৎপাদন হয় না।

২০২০ সালে করোনার পর আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির চাহিদা কমায় দামও কমে যায়। তবে নতুন করে চিংড়ির চাহিদা বেড়েছে। মৎস্য বিভাগ থেকে নতুন প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কম জমিতে উৎপাদন বাড়লে আগামীতে চিংড়ি চাষির সংখ্যাও বাড়বে।’

জেলার শিবপুর বাগদা চাষি ক্লাস্টারের সাধারণ সম্পাদক মধু সূদন মন্ডল জানান, ‘পারিবারিকভাবে ২০০৪ সাল থেকে আমি বাগদা চাষের সঙ্গে আছি। এতদিন সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করতাম।

গত আগস্ট মাসে কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ নিয়ে উন্নত সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করেছিলাম। এ মাসের ২০ তারিখে ঘেরে জাল দিয়ে মাছ ধরেছি। প্রতি বিঘায় আগে যেখানে ৩ মাসে ৪০-৪৫ কেজি পেতাম। এবার সেখানে মাত্র ৯৩ দিনে ১০০ কেজির বেশি উৎপাদন হয়েছে।’

কালীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হুদা জানান, ‘জেলার ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৫৮ হাজার লবণ পানির ঘেরে বাগদা চিংড়ি চাষ হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ ঘেরেই সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। এবারই প্রথম উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সনাতন পদ্ধতিতে চাষে সফলতা এসেছে।

এ প্রযুক্তির চাষে কম জমিতে উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণ। পরীক্ষামূলক এ প্রকল্পের কাজ সফল হয়েছে। আগামীতে এ পদ্ধতিতে বাগদা চাষ আরও বাড়বে। মৎস্য বিভাগ থেকে আগ্রহীদের উন্নত এ প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মনোহরদীতে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

নরসিংদীর মনোহরদীতে অনুমোদন ও ছাড়পত্র না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে...

আবাসন প্রতিষ্ঠান ইউনিমাস হোল্ডিংস এর ১৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

দেশের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল আবাসন প্রতিষ্ঠান ইউনিমাস হোল্ডিংস লিমিটেড সম্প্রত...

বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহাল;আপিল বিভাগের রায়

বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে ৩টি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ...

রাসেলস ভাইপার ধরে নিয়েই হাসপাতালে কৃষক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বিষাক্ত সাপ রাসেলস ভাইপার–এর কামড়ে আহত হওয়ার...

সন্দ্বীপে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মধ্যরাতে এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম...

চট্টগ্রামে প্রতারণা চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৫

চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সক্রিয় একটি প্রতারণা চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার কর...

ছিনতাইকৃত সিএনজি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা–পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে একটি ছিনতাইকৃত সিএনজ...

১৫ দিন আগে স্বামী হারানো রিনার ঘরেই চোরের হানা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় স্বামীকে হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি রিনা আক্...

গণশুনানিতে ৩৫ জনের আবেদন শুনলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক...

দাদির ওপর অভিমানে কীটনাশক খেয়ে কিশোরীর মৃত্যু

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে দাদির ওপর অভিমানে কীটনাশক খেয়ে প্রিয়া আক্তার...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা