শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য গাছ কাটার ধুম লেগেছে।এই বছর খেজুর গাছের সংখ্যা আগের তুলনায় কম। এর মূল কারণ, অনেক খেজুর গাছ ইট পোড়ার জন্য বিক্রি করা হচ্ছে।
স্থানীয় খেজুর মালিক জানান, গাছের অনেক বয়স হয়ে গেলে তা দুর্বল হয়ে যায়। তখন গাছের মাথা ছোট হয়ে শুকাতে শুরু করে, গাছটি মারা যায়। আগের মতো যারা গাছে ওঠে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে, তাদেরও এখন শক্তি নেই।
ইসলামপুর ইউনিয়নের এরিকাঠি বটতলা এলাকার খেজুর মালিক শিউলি আব্দুল আজিজ বলেন, এই বছর আমি ১৫ থেকে ২০টি খেজুর গাছ কেটেছি, রস মাত্র ৭-৮ হাড়ি হয়েছে। বিক্রি করলে প্রতিহারির দাম ৫০০-৬০০ টাকা, যা লাভজনক নয়। অনেকে গাছ কাটার জন্য রাজি নয়। তাই আমি নিজে গাছ কেটে রস সংগ্রহ করছি।
অপরদিকে, খেজুর রসের ক্রেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, আগে খেজুরের রস সস্তা খাওয়া যেত। এখন এক হাড়ির দাম ৬০০ টাকা, যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। যদি এই পরিস্থিতি থাকে, ভবিষ্যতে খেজুরের রস চোখে দেখলেও খুব কমই দেখতে পাবে। ধনী লোকেরা হয়তো কিনে খেতে পারবে, কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাগ্যে নাও জুটতে পারে।
স্থানীয়দের মতে, ইট পোড়ার জন্য খেজুর গাছের চাহিদা বেশি থাকায়, রসের উৎসীয় খেজুর গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে খেজুর রস একটি বিলুপ্তপ্রায় উপাদান হয়ে যাবে।
আমারবাঙলা/এসএ