মোঃ আব্দুল বাকের সরকার, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সুবর্ণ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মো. সফিকুল ইসলাম (৫০) নামের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সন্ধা ৭ ঘটিকার সময় সুবর্ণ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তিনি মারা যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১০টা খন্ড খন্ড লাশ রেল লাইনের পাশে পরে আছে।
নিহত স্কুল শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম কসবা উপজেলার বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ের জৈষ্ঠ্য শিক্ষক। ওই শিক্ষকের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থিত। তিনি বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন মিজান মোল্লার বাসায় ভাড়া থাকতেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে ওই স্কুল শিক্ষক সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে বাসায় ভাড়া থাকতেন। আজ বুধবার ৭ ঘটিকার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে বালিয়াহুরা নামক স্থানে ও শিক্ষক অন্য মসস্ক হয়ে হাঁটতে ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস নিচে কাটা পড়ে লাশ খন্ড খন্ড হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তা দেখতে পায়। প্রিয় শিক্ষকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চার পাশের লোকজন এসে ভিড় জমায়।
রাত দশটার দিকে খবর পেয়ে এখনো রেলওয়ে থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে রওনা করেন।
বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মুরাদ সরকার বলেন, সফিক স্যার খুব ভালো মানুষ ছিলেন। সন্ধ্যায় ট্রেন লাইনের পাশ দিয়ে হাটতে ছিলেন। এ সময় সুবর্ণ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে লাশ খণ্ড খন্ড হয়ে পড়ে। রাত দশটা পর্যন্ত লাশটি খন্ড খন্ড অবস্থা রেললাইনের পাশে পড়ে আছে।রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিম খন্দকার বলেন আমরা পুলিশ পাঠিয়েছে লাশ উদ্ধার করে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            