ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ফুটওভার ব্রিজটির সিঁড়ির অবস্থা বর্তমানে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বহুদিন ধরেই এটি সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যা যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
স্থানীয় পথচারী, দোকানদার ও স্কুলছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিঁড়ির ধাপে ধাপে ভাঙা, খসে পড়া অংশ ও রেলিংয়ের দুর্বল অবস্থা দিনের বেলায়ও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু রাতের বেলায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে, কারণ তখন আলো স্বল্পতার কারণে সিঁড়ির খারাপ অংশগুলো চিহ্নিত করাও সম্ভব হয় না। এতে করে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বয়স্ক পথচারী এবং নারীদের জন্য এটি এক বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। নিয়মিত যাতায়াতকারীরা আতঙ্কের মধ্যে এই ফুটওভার ব্রিজ পারাপার হচেছন।
স্থানীয় একজন শিক্ষক জানান, “বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া-আসার সময় আমরা সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকি। কোনো দিন হয়তো বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “এটি একটি ব্যস্ততম এলাকা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই ব্রিজ ব্যবহার করেন। কিন্তু এই দুর্বল কাঠামোতে আর কতোদিন?”
ভালুকা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন, বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনসাধারণ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন। তারা চান, ফুটওভার ব্রিজটির জরুরি ভিত্তিতে মেরামত ও পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হোক, যাতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
আমারবাঙলা/ইউকে
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            