ব্যক্তিমালিকনাধীন জমির সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে ঢুকে মাদকসেবন করতে নিষেধ করায় মো. সাজ্জাদ হোসেন নামে এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সাজ্জাদ হোসেন বর্তমানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সকাল সন্ধ্যা’য় নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি দৈনিক সমকাল, দৈনিক কালের কণ্ঠ, দৈনিক আমাদের সময়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সাজ্জাদ হোসেন এবং তার সহকর্মী ও বন্ধুরা ১৫ জন মিলে ২০১৭ সালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন শাক্তা ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামে একখণ্ড জমি কেনেন। এরপর থেকেই জমিটি পাঁচ ফুট উঁচু সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা অবস্থায় পতিত পড়ে আছে। সম্প্রতি স্থানীয় মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে সেখানে ইয়বা ও ফেনসিডিল সেবনের আখরা বানিয়েছে। এমতাবস্থায় গত ১৮ জানুয়ারি সকালে জমিতে গিয়ে স্থানীয় আব্দুর রহিমের দুই ছেলে মো. সুজন (২৫) ও মো. সুমন (২২)সহ অজ্ঞাত আরো সাত থেকে আট জনকে দেখতে পান সাজ্জাদ। এসময় তাদেরকে জমিতে ঢুকতে নিষেধ করায় সাজ্জাদকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান।
ভুক্তভোগী সাজ্জাদ বলেন, আমাদের জমিতে আমরা মাদকসেবীদের ঢুকতে নিষেধ করায় তারা উল্টো আমাদের হুমকি দেয় যে আমরা যেন জমিতে আর না যাই। জমিতে গেলে আমাদের মেরে ফেলা হবে।
তিনি বলেন, ঘটনার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমরা যার (স্থানীয় আব্দুর শুক্কুর) কাছ থেকে জমিটি কিনেছি সুজন ও সুমন তারই আপন ভাতিজা। পরে তাদের বিষয়ে আব্দুর শুক্কুরকে জানালে তিনি জানান, মাদকসেবী সুজন ও সুমন পরিবারের কারো কথা শুনেন না। তাদের অত্যাচারে পরিবারও অতিষ্ঠ। তাই এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। তাই নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ করতে হয়েছে।
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহরাব বলেন, সাংবাদিককে হত্যার হুমকির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
আমারবাঙলা/এমআরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            