বিদেশে প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিয়ে করেও যৌতুকলোভী স্বামীর প্রতারণা ও শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়ে দিশেহারা এক গৃহবধু আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী নামের স্বামী হাওলাতের নামে স্ত্রীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারণা চালিয়ে আসছেন।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নারী-পুরুষ ও ভুক্তভোগী গৃহবধু রেনু বেগম জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন আগে আবুধাবিতে একটি বোরকা কারখানা পরিচালনার সময় স্বামী মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে স্বামী প্রেমের ফাঁদে পেলে প্রায় ৩৫ হাজার দিরহাম দেনমোহর হিসেবে প্রদান করে ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক রেনু বেগমকে বিদেশে বিয়ে করেন। এরপর বাংলাদেশে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামী তার কাছ থেকে ছয় লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাওলাত নেন।
২০০৬ সালে নোয়াখালীর ধর্মপুর গ্রামে ৫ ডিঙি জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন মোহাম্মদ আলী। জমি দখল বুঝিয়ে দিয়ে ভিকটিম দীর্ঘ ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা বাড়ি নির্মাণ করেন। ২০১১ সালে দেশে এসে ওই বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু যৌতুকের নামে স্বামী পুনরায় ৫ লাখ টাকা দাবি শুরু করেন এবং টাকা দিতে অস্বীকার করলে মারধর, মানসিক নির্যাতন ও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালান।
স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে রেনু বেগম রক্ষা পেলেও স্বামী তালাকের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী গৃহবধু ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে প্রতারণা ও অত্যাচার করে আসছেন এবং জমি রেজিস্ট্রি না করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করছেন। এ ঘটনায় রেনু বেগম নোয়াখালীর আদালতে স্বামী মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
অভিযোগে পুলিশ ও স্থানীয় একটি এসআইয়ের বিরুদ্ধে আচরণ ভঙ্গের কথাও উঠেছে। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি আদালতের ব্যাপার এবং পুলিশ এতে আর কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলীর পক্ষের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
আমারবাঙলা/এফএইচ