বগুড়ার নন্দীগ্রামে কুরবানির পশুর চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণে মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রদত্ত ১৫ মেট্রিকটন লবন বিতরণ করা হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এ বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে উপজেলার স্থানীয় পর্যায়ে পশুর কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করা তালিকাভুক্ত মাদ্রাসায় বিনামূল্যে ১৫ হাজার কেজি লবন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আঞ্জুমান বানু। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোহান সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সরদার ফজলুল করিম, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ২৪ মাদ্রাসা-এতিমখানার মুহতামিমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে চাহিদা অনুযায়ী নন্দীগ্রাম পৌরসভার কলেজপাড়া মিফতাহুল উলুম এতিমখানা ৮৪০ কেজি লবন, ওমরপুর আশরাফুল উলুম এতিমখানা ৪ হাজার ৪০ কেজি, নন্দীগ্রাম দক্ষিণপাড়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ২ হাজার ৪৪০ কেজি, মানারাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা ১০৪ কেজি, উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগ্রাম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা ৪৪০ কেজি, বীরপলি সরিষাবাদ ও চাপিলাপাড়া দারুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ২৮০ কেজি, বীরপলী মাদ্রাসা ১৬০ কেজি, ধুন্দার হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ৪০০ কেজি লবন বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের পাকুরিয়াপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ২৮০ কেজি, গোছন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা ৪৪০ কেজি, শিমলা মহিলা মাদ্রাসা ১২০ কেজি, তারাটিয়া জামিয়া কওমি মাদ্রাসা ৯২০ কেজি, ছোট ডেরাহার কওমি মাদ্রাসা ৬৪০ কেজি, মিফতাহুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ২৮০ কেজি, ভাটরা ইউনিয়নের ভাগবজর এতিমখানা ৩৪০ কেজি, বারুইপাড়া শাহ ওলিউল্লাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানা ২৮০ কেজি, পন্ডিতপুকুর আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসা ১২০ কেজি, মাটিহাস হাফেজিয়া মাদ্রাসা ৩৮০ কেজি, পন্ডিতপুকুর দারুল উলুম বাজার মাদ্রাসা ১৪০ কেজি, থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের দারিয়াপুর এতিমখানা ৩৪০ কেজি, ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চাকলমা আলিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা ৮০ কেজি, বর্শন নূরানী শিশুসদন এতিমখানায় ১৬০ কেজিসহ আরও কয়েকটি মাদ্রাসায় লবন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে উপজেলার মাদ্রাসা এতিমখানা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কুরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও চামড়া সংরক্ষণ শীর্ষক বৈঠক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আঞ্জুমান বানু। ঈদে কুরবানির পশু জবাইয়ের পর যথাযথভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ নানা দিকনির্দেশনা দেন। ইউএনও বলেন, কুরবানির পশু জবাইয়ের পর চামড়া পঁচে যাওয়ার শঙ্কায় ওইদিনই বিক্রি করলে দাম অনেকটা কম পাওয়া যায়। চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। এতে মাদ্রাসা এবং এতিমখানা উপকৃত হবে। চামড়া যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য লবণ দিয়ে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
আমারবাঙলা/ইউকে